পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । 6 c 3 সাভার কিছুমাত্র শৈথিল্য দেখি ন। এক্ষণে আমাদের উপর অত্যন্ত রক্ষসের উপদ্রব আরম্ভ হইয়াছে, তন্নিমিত্ত আমরা উদ্বিগ্ন হইয়া, নির্জনে নানা প্রকার জলপনা করিতেছি। এই স্থানে খর নামে এক নিশাচর বাস করিয়া থাকে, সে রাবণের কনিষ্ঠ। ঐ মাংসাস অতি নৃশংস গৰ্ব্বিত ও নির্ভয়, সে জনস্থাননিবাসী ঋষিগণকে অভ্যন্ত উৎপীড়ন করিতেছে। তোমার প্রভাব উহার কিছুতেই সহ্য হইতেছে না। তুমি যদবধি এই স্থানে আসিয়াছ, ঐ রাত্মা সেইপর্যন্ত অন্যান্য নিশাচরের সহিত আমাদের প্রতি নানা প্রকার উৎপাত করিতেছে । কখন ক্রর ও বীভৎস বেশে আসিতেছে, কখন বিকট মুর্ভি পরিগ্রহ করিতেছে, কখন বা নালীরূপে বিরূপ হইয়া সকলের হৃৎকম্প জন্মাইভেছে । উহারা আসিয়া অপমাদিগের উপর অপবিত্র বস্তু সকল নিক্ষেপ করে, এবং যাহাকে সম্মুখে পায় তাহাকেই যন্ত্রণ দিয়া থাকে। অপপ্রাণ ভাপসেরা নিদ্রীয় মচেতন হইয় আছেন, ইত্যবসরে উহার নিঃশব্দপদসঞ্চারে আগমন ও উঠাদিগকে বাহুপাশে বন্ধন পূর্বক মহাহর্ষে বিনাশ করিয়া থাকে। 'যজ্ঞকালে যজীয় দ্রব্য সকল নষ্ট করে, কলশ চূর্ণ করিয়া ফেলে, এবং অগ্নি নিৰ্ব্বাণ করিয়া দেয় । জানি না, ঐ ছরাত্মার আমাদের মধ্যে কবে কাহার প্রাণনাশ করিবে । এক্ষণে কেবল এই কারণে ঋষিরা আশ্রমভ্যাগের সঙ্কম্প