পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশাধিকশততম সৰ্গ । জানকী অনস্থয়ার এইরূপ কথা শুনিয়া, মৃদুস্বরে কছিলেন, আপনি ষে আমায় শিক্ষা দিবেন, আপনার পক্ষে ইহা অার আশ্চর্য্যের কি। কিন্তু আর্য্যে ! স্বামী যে স্ত্রীলোকের গুৰু, আমি তাহা বিশেষ জানিয়াছি। তিনি যদিও দুশ্চরিত্র ও দরিদ্র হন, তথাচ কিছুমাত্র দ্বিধা না করিয়া, ভাষার পরিচারণায় নিযুক্ত থাকিতে হইবে। কিন্তু যিনি জিতেন্দ্রিয় গুণবান দয়ালু স্থিরানুরাগী ও ধাৰ্মিক, এবং যিনি মাতৃসেবীপর ও পিতৃবৎসল, উপহার বিষয়ে আর বলিবার কি আছে। রাম যেমন কৌশল্যাকে, সেইরূপ অন্যান্য রাজপত্নীকেও শ্রদ্ধা করিয়া থাকেন । রাজা দশরথ ষে নারীকে একবার নিরীক্ষণ করিয়াছেন, রাম অভিমানশুণ্য হুইয়া উহা প্রতি মাতৃবং ব্যবহার করেন। ভাপসি ! আমি যখন এই ভীষণ অরণ্যে আসি, তখন আর্য্যা কৌশল্যা আমায় যাছা উপদেশ দেন, আমি ভাহা বিস্মৃত ছই নাই, এবং বিবাহের সময় জননী অগ্নিসমক্ষে যে প্রকার আদেশ করেন, তাছাও ভুলি নাই । ফলত পতিসেবাই স্ত্রীলোকের তপস্যা, আত্মীয় স্বজন এ কথা আমার বিলক্ষণ হৃদ্বোধ করিয়া দিয়াছেন। সাবিত্ৰী ইছার বলে স্বর্গে পূজিত হইতেছেন ।