পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ । سن؟ رہ 6 তখন সভা অনস্থয়ার প্রীতি-দীন গ্রহণ পূৰ্ব্বক झडाঞ্জলিপুর্চে তাহারই সমীপে উপবেশন করিয়া রছিলেন। অনন্তর তপস্বিনী তাছাকে জিজ্ঞাসিলেন, বৎসে ! শুনিয়াছি, এই যশস্বী রাম স্বয়ংবরে তোমাকে প্রাপ্ত হইয়াছেন । এক্ষণে ভূমি সেই বৃত্তান্ত সবিস্তুরে কীৰ্ত্তন কর, শুনিতে আমার অত্যন্তু কৌতুহল হইতেছে । তখন জানকী কছিলেন, দেবি ! শ্রবণ কৰুন। জনক নামে এক ধৰ্ম্মপরায়ণ মহীপাল ন্যায়ানুসারে মিথিলায় রাজ্যশাসন করেন। একদা তিনি লাঙ্গলহস্তে যজ্ঞক্ষেত্র কর্ষণ করিভেছিলেন, ঐ সময় আমি ভূমি উদ্ভেদ করিয়া উথিত হই । তৎকালে তিনি মৃত্তিক মুষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বিষম স্থল সমতল করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, দেখিলেন, আমি ধূলিধূষরদেহে ভথায় নিপতিত আছি । ভদর্শনে তিনি নিতান্ত বিম্মিত হইলেন, এবং নিঃসন্তান বলিয়া স্নেহপূর্বক আমায় ক্রোড়ে লইলেন। ইত্যবসরে অন্তরীক্ষ হইতে যেন মনুষ্য-কণ্ঠস্বরে এই কথা উচ্চরিত হইল, “মহারাজ ! ধৰ্ম্মানুসারে এই কন্যা তোমারই ভনয় হইলেন ।” শুনিয়া জনক যার পর নাই সম্ভোষ লাভ করিলেন, এবং আমাকে পাইয়া অবধি সমৃদ্ধিশালী হইয়া উঠিলেন । পরে তিনি আমায় লইয়া পুত্রার্থিনী জ্যেষ্ঠ মহিষীর হস্তে অৰ্পণ করিলেন । পুণ্যশীলা স্নিগ্ধহৃদয় রাজমহিষীও মাতৃস্নেহে