পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । (two তখন রাজা দশরথ প্রতীছারীর এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া একাত্ত বিমলায়মান হইলেন । তাহার চিত্ত নিতান্তু আকুল হইয়া উঠিল । তিনি ক্রোধাগারে প্রবেশ করিলেন । দেখিলেন যিনি দুগ্ধফেনলিভ শয্যায় শয়ন করিয়া থাকেন, তিনি ভূতলে পতিত রছিয়াছেন । তদর্শনে তাহার হৃদয় দুঃখ তাপে দগ্ধ হইতে লাগিল । তখন সেই নিষ্পাপ বৃদ্ধ রাজা প্রাণপ্রিয়া তৰী ভাৰ্য পাপীয়লী কৈকেয়ীকে ছিন্নলতার ন্যায় মরলোকপৰিভ্ৰষ্ট সুরনারীর ন্যায় পরিচিত্ত-মোছন-প্রযুক্ত মায়ার ন্যায় বাগুরাবদ্ধ হরিণীর ন্যায় এবং নিষাদের বিষাক্ত বাণবিদ্ধ করেখুব ন্যায় ভূতলে নিপতিত দেখিয়া চকিতু মনে স্নেহভরে উহার কলেবরে কর পরামর্ষণ করিক্তে লাগিলেন । অনন্তর সেই কামী ঐ কমললোচনা দুঃখিত কামিনীকে সম্বোধন পূর্বক কছিলেন, প্রিয়ে তোমার যে কি নিমিত্ত ক্ৰেীৰ উপস্থিত হইয়াছে আমি তাহর কিছুই জানি না । বল কে তোমার অবমাননা কেই বা তোমাকে তিরস্কার করল ? তুমি ধুলির উপর শয়ন করিয়া কেন আমায় আমুখী করিতেছ ? আমি তোমার শুভ কামনাই করিয়া থাকি, সুতরাং আমার প্রাণসত্তে তুমি কেন এইরূপ অবস্থায় কুগ্রহগ্রস্তার ন্যায় লিপতিত রছিরছি ? আমার অধিকারে বহুসংখ্য স্থবিজ্ঞ বৈষ্ট আছেন। জামি তাৰাদিগকে প্রচুর অর্থ দিয়া পরিতুষ্ট করিয়া রাখিয়ছি। এক্ষণে