পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ । বেগ দ্বিগুণ হইয়া উঠিল । তিনি শূন্যে দৃষ্টি নিক্ষেপ পূর্বক দীর্ঘ নিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কাতরভাবে কহিলেন; অয়ি নক্ষত্রমালি নি রজলি ! প্রভাত হইও না, আমি কৃতাঞ্জলিপুটে কহিতেছি, রূপ কর । অথবা শীঘ্রই প্রভাত হও, প্রাতে রামের বনগমন ও আমার মৃত্যু হইলে, যাহার নিমিত্ত আমায় এত দুঃখ সহ করতে হইতেছে, সেই নির্দয় নিষ্ঠুর কৈকেয়ীকে আণর দেখিতে হইবে না ! দশরথ শবরীকে এই রূপ কহিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে কৈকেয়ীকে কহিলেন দেবি ! দেখ, আমি ধন প্রাণ সমুদায়ই তোমায় অপর্ণ করিয়াছি । আমার শেষ দশা উপস্থিত, আমি অতি দীন, এক্ষণে তুমি প্রসন্ন হও । প্রিয়ে ! আমি যে রাজা, রাজা বলিয়াও কি তোমার দয়া হইবে না । আমি অতি দুঃখেই কাৰ্য্যাকাৰ্য বিবেকশ্বন্য হইয়া তোমার প্রতি কটুক্তি করিಣ್ಣ । সরলে ! প্রসন্ন ছও , ভাল, আমার রাম তোমাR કન્ન রাজ্যসম্পদ লাভ কৰুন ; ইহাতে জগতে তোমারই যশ হইবে এবং ইহা অামার, রামের, ভরতের ও বশিষ্ঠাদি গুৰুজনেরও প্রতিকর হইবে । বলিতে বলিতে রাজা দশরথের নেত্রযুগল অঞ্জ-পূর্ণ ও ভাঁজবর্ণ হুইয়া উঠিল । তিনি কৰুণভাবে এই রূপ বিলাপ ও পরিতাপ করিলেও কৈকেয়ী কর্ণপাত করিলেন না। প্রত্যুত অত্যন্ত