পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড । ১২৯ আষাতে হতজ্ঞান হইয়া, শতযোজন সমুদ্রে গিয়া পডিলাম । তৎকালে রামের বিনাশ করিবার সঙ্কণপ না থাকাতেই আমার প্রাণ রক্ষ হইল, কিন্তু তিনি শরবেগে আমাকে গভীর সাগরজলে লইয়া ফেলিয়াছিলেন । অনন্তর আমি বহুক্ষণের পর চৈতন্য লাভ করিয়া লঙ্কায় প্রতিগমন করি। রাজনৃ! এইরূপে আমিই কেবল রামের ছস্ত হইতে পরিত্রাণ পাই, কিন্তু তিনি বয়সে বালক ও অস্ত্রে অপটু হইলেও আমার আর আর সহচরকে বিনাশ করেন। এক্ষণে আমি নিবারণ করি, তুমি তাছার সহিত বৈরাচরণ করিও না, ইহাতে নিশ্চয়ই বিপদস্থ হইয়া নষ্ট হইবে, ক্রীড়াসক্ত সমাজবিহারী উৎসবদর্শক রাক্ষসগণুকে অকারণ সস্তুপ্ত করিবে, এবং সীতার জন্য নিবিড়-প্রাসাদশোভিত রত্নখচিত লঙ্কাকে ছারখার হইতে দেখিবে । শুদ্ধসত্ত্ব লোকেরা পাপ না করিলেও পাপীর সংশ্রবে সপহ্রদে মৎস্যের ন্যায় বিনষ্ট হইয়া যায় । অতঃপর তুমি স্বদোষেই সুগন্ধিচন্দনলিপ্ত উজ্জ্বলবেশ রক্ষসগণকে নিহত ও ভূতলে পতিত দেখিবে; হতাবশেষ বহুসংখ্য নিশাচর নিরাশ্রয় হইয়া, কাহারও স্ত্রী সঙ্গে কেহ বা একাকী, দশ দিকে ধাবমান হইতেছে, দেখিতে পাইবে ; লঙ্কাকেও শরজালসমাকীর্ণ অনলশিখাপূর্ণ ও ভস্মীভূত দেখিবে । রাজনৃ! পরস্ত্রী হরণ অপেক্ষা গুৰুত্বর পাপ আর নাই। তোমার অন্তঃপুরে সহঅ সহস্র রমণী আছে, তুমি y 4