পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>88 o - রামায়ণ । রামকে কহিলেন, আর্যপুত্র! ঐ মুন্দর মৃগ আমার মনোহরণ করিয়াছে ; এক্ষণে তুমি ঐটিকে আনয়ন কর, আমরা উহাকে লইয়া ক্রীড়া করিব। আমাদের এই আশ্রমে বহুসংখ্য মৃগ চমর সৃমর ভল্লুক বানর ও কিন্নর পরিভ্রমণ করিয়া থাকে তাহারা দেখিতে সুন্দর বটে, কিন্তু তেজ শাস্তুভব ও দীপ্তিতে এইটি যেমন, এইরূপ আর কাছাকেও দেখি নাই । ঐ নানাবর্ণচিত্রিত শশাঙ্ক-শোভন রত্নময় মৃগ আমার নিকট বনবিভাগ আলোকিত করিয়া স্বয়ং শোভিত হইতেছে । আহা উহার কি রূপ ! কি শোভা কেমন কণ্ঠস্বর ! ঐ অপূৰ্ব্ব মৃগ যেন আমার মনকে আকর্ষণ করিয়া লইতেছে। যদি তুমি উহা জীবন্ত ধরিয়া আনিতে পার, অত্যন্ত বিস্ময়ের হইবে । আমাদের বনৰীসকলে অতিক্রান্ত হইলে, আমরা পুনৰ্ব্বার রাজ্য লাভ করিব ; তৎকালে এই মৃগ অন্তঃপুরে আমাদিগের এক শোভার দ্রব্য হইয়! থাকিবে ; এবং ভরত, তুমি, শ্বশ্ৰুগণ ও আমি, আমাদের সকলকেই যার পর নাই বিস্মিত করবে। যদি মৃগ জীবিত থাকিতে তোমার হস্তগত ন। ছয়, তাহ হইলেও উহার রমণীয় চৰ্ম্ম আমাদের ব্যবহারে আসিতে পারে। আমি তৃণময় আসনে ঐ স্বর্ণের চৰ্ম্ম আত্তীর্ণ করিয়া উপবিষ্ট হইব । স্বার্থের অভিসন্ধি করিয়া স্বামীকে নিয়োগ করা স্ত্রীলোকের নিতান্ত অসদৃশ, কিন্তু বলিতে কি, ঐ জস্তর দেহ দেখিয়া আমি অত্যন্তই বিস্মিত হইয়াছি।