পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ রামায়ণ । জন করিলেন । রাবণ “ত্যাগ কর ত্যাগ কর” বারংবার এই বলিতে বলিতে উইণর নিকটস্থ হইল । জানকী হা রাম ! হা রাম ! বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন । এই অবসরে ঐ দুৰ্বত্তও আত্মনাশের নিমিত্ত উছার কেশমুষ্টি গ্রহণ করিল। এই ব্যাপার উপস্থিত হইবামাত্র চরাচর বিশ্বে নানা প্রকার ব্যতিক্রম ঘটিতে লাগিল | গাঢ়তর অন্ধকারে সমুদায় আচ্ছন্ন হইয়া গেল। বায়ু নিশ্চল, স্বৰ্য্য প্রভাশূন্য হইলেন। পিতামহ ব্রহ্মা দিব্যচক্ষে জানকীর পরাভব দর্শন করিয়া কহিলেন, এক্ষণে বুঝি আমরা কৃতকাৰ্য হইলাম । তৎকালে দণ্ডকারণ্যের মহর্ষিগণ রাবণবধ যদৃচ্ছাপ্রাপ্ত অনুধাবন পূর্বক সন্তোষ লাভ করিলেন, কিন্তু স্বচক্ষে সীতার কেশগ্রহ প্রত্যক্ষ করিয়া, যার পর নাই বিষন্ন হইলেন । r সীতা ছ। রাম ! হা লক্ষণ ! বলিয়া অনবরত রোদন করিতেছেন, রাবণ উইকে গ্রহণ পূর্বক আকাশপথে উত্থিত হইল । তখন ঐ স্বর্ণবর্ণ পীতবসনা, নভোমণ্ডলে বিদ্যুতের ন্যায় শোভা পাইতে লাগিলেন। উইরে বস্ত্র উড়ুডান হওয়াতে রাবণ অগ্নিপ্রদীপ্ত পৰ্ব্বভবৎ নিরীক্ষিত হইল। ঐ সময় সীতার সৌরভূযুক্ত রক্তোৎপলের পত্র সকল রাবণের গাত্রে বিক্ষিপ্ত হইতে লাগিল, এবং উইার স্বর্ণপ্রভ বস্ত্র উদ্ধত হওয়াতে সে সন্ধ্যা রাগরঞ্জিড় মেঘের ন্যায় লক্ষিত হইল ! হা! সীতার বিমল