পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাও ৷ ” S > > উহাকে দেখিয়া থাক, ত অসঙ্কোচে বল, তোমার কিছুমাত্র আশঙ্কা নাই । কমললোচনে ! তুমি কি কারণে ধাবমান হইতেছ, এই যে তোমাকে দেখিতে পাইলাম ; তুমি বৃক্ষের অন্তরাল হইতে কেন আমার বাক্যে উত্তর দিতেছ না । দাড়াও, এক্ষণে একান্তই নির্দয় হইয়াছ, তুমি ত পূর্বে এইরূপ পরিহাস করিতে না, তবে কি জন্য আমাকে উপেক্ষা কর । প্রিয়ে ! আমি তোমাকে পীতবর্ণ পট্টবসনে চিনিয়াছি, তুমি দ্রুতপদে যাইতেছ, তাহাও দেখিয়াছি, তোমার অন্তরে যদি স্নেহসঞ্চার থাকে, তবে থাক, আমি যাইও না । ন!, ইনি চাৰুহাসিনী জানকী নহেন, মাংসাশী রাক্ষসগণ আমার অসমক্ষে নিশ্চয়ই তাঁহার অঙ্গ বিভাগ পূর্বক ভক্ষণ করিয়াছে ; নচেৎ এইরূপ ক্লেশে তিনি আমাকে কখন উপেক্ষা করিতেন না । হা! জানকার নাসিকা কি সুদৃশ্য, দন্ত কি সুন্দর, এবং ওষ্ঠই বা কি মনোহর । র্তাহার সেই কুণ্ডলশোভিত পূর্ণচন্দ্র প্রতিম মুখ খানি রাক্ষসের গ্রাসে ছতত্র হইয়া গিয়াছে । তিনি আৰ্ত্তরব করিতে লাগিলেন, আর নিশাচরেরা তাহার চন্দনবর্ণ স্বর্ণহারের যোগ্য কোমল গ্রীবা ভক্ষণ করিল। তাহার পল্পবযুদ্ধ অলস্কৃত হস্ত ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত এবং অগ্রভাগে কম্পিত হইতে লাগিল, আর উহারা তাহ ভক্ষণ করিল । ছা ! আমি রাক্ষসগণেরই জন্য তৰুণী সীতাকে ভ্যাগ করিয়া গিয়াছিলাম । তিনি স্বজন সত্ত্বেও যেন সঙ্গি