পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২০ রামায়ণ । হইয়া আকাশপথে নিরবচ্ছিন্ন অস্পষ্টস্বরে না জানি কতই রোদন করিয়াছেন। র্তাহার বর্জুল স্তনযুগল সতত রমণীয় হরিচন্দনরাগে রঞ্জিত থাকিত, এক্ষণে বোধ হয়, তাহ। শোণিতপঙ্কে লিপ্ত হইয়া গিয়াছে, কিন্তু দেখ, আমার এখনও মৃত্যু হইল না। যে মুখে কুটিলকেশভার শোভা পাইত এবং মৃদু কোমল ও সুস্পষ্ট কথা নির্গত হইত, এক্ষণে তাহ রাহুগ্রস্ত চন্দ্রের ন্যায় একান্ত হতশ্ৰী হইয়া গিয়াছে । হা ! বোধ হয়, শোণিতলোলুপ রাক্ষসেরা সেই পতিপ্রাণার হারশোভিত গ্রীব নির্জনে ছিন্ন ভিন্ন করিয়া ৰুধির পান করিয়া থাকিবে। অামি আশ্রমে ছিলাম না, ইত্যবসরে উহারা তাহাকে বেষ্টন পূর্বক আকর্ষণ করে, আর সেই আকর্ণলোচনা দান কুরীর ন্যায় আৰ্ত্তরব করিয়া থাকিবেন । বৎস! তাহার স্বভাব অতি উদার, পূর্বে তিনি এই শিলাতলে আমার পার্শ্বে বসিয়া মধুর হাস্তে তোমার কথা কতই কহিতেন। এক্ষণে আইস, আমরা উভয়ে তাহার অনুসন্ধান করি, আমার বোধ হয়, তিনি এই সরিদ্বরা গোদাবরীতে গমন করিয়াছেন । এই নদী উাহার একান্তই প্রিয়। কিম্বা সেই পদ্মপলাশনয়ন পদ্ম আনয়নার্থ কোন সরোবরে গিয়াছেন, অথবা এই বিহঙ্গসংকুল পুষ্পিত বনে প্রবিষ্ট হইয়াছেন ; না, অসম্ভব, তিনি ভয়ে একাকী কখন কোথাও যাইবেন না। সুর্য্য! তুমি লোকের