পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড । २ ९१ অতঃপর সুরগণ নিশ্চয় আমাকে নিবীৰ্য্য বোধ করিবেন। আমার যে সকল গুণ অাছে, ভাগ্যক্রমে সে গুলিও দোষে পরিণত হইল। এক্ষণে প্রলয়ের স্বৰ্য্য যেমন জ্যোৎস্না লুপ্ত করিয়া উদিত হইয়া থাকেন, সেইরূপ আমার ভেজ, গুণ সমুদায় ধ্বংস করিয়া প্রকাশ হইবে । আজ যক্ষ রক্ষ গন্ধৰ্ব্ব পিশাচ কিন্নর ও মনুষ্যেরা মুখী হইতে পারিবে না। আজ আমি নভোমণ্ডল শরপূর্ণ করিয়া, ত্ৰিলোকস্থ সমস্ত লোককে নিশ্চেষ্ট করিব ; গ্ৰহগণের গতিরোধ ও চন্দ্রকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিব স্বৰ্য্য ও অগ্নির জ্যোতি নষ্ট । করিয়া, সমুদায় ঘোর অন্ধকারে আবৃত করিব ; গিরিশৃঙ্গ চূর্ণ ও জলাশয় শুষ্ক করিয়া ফেলিব ; তৰু লতা গুল্ম ছিন্ন ভিন্ন ও মহাসমুদ্রকেও এককালে নিৰ্ম্ম ল করিব । বৎস! যদি দেবগণ পূর্ববৎ কুশলিনী সীতাকে অামায় অৰ্পণ না করেন, তিনি হৃত বা মৃতই হউন, যদি এখন তাহাকে না দেন, তবে আমি সমস্ত সংসারই ছার খার করিব । এই মুহুর্ভেই সকলে আমার বলবীর্য্যের পরিচয় পাইবে । গগনতলে আর কেহই সঞ্চরণ করিতে পরিবে না ; জগৎ আকুল হইয়া মৰ্য্যাদা লঙ্ঘন করিবে ; এবং মুরগণও আমার সুদূরগামী শরসমূহের বল প্রত্যক্ষ করিবেন । লক্ষণ! এইরূপে আমার ক্রোধে ত্রিলোক উৎসন্ন হইলে উছারা দৈত্য পিশাচ ও রাক্ষসের সহিত নষ্ট হইবেন এবং আমার দুর্নিবার শরে উঠাদের সকলেরই লোক খণ্ড খণ্ড হইয়া পড়িবে।