পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্যকাণ্ড । Ꮔ © কহিল, ভ্রাতঃ ! যাহারা লোকহিংসা লইয়া ক্রীড়া করে, সংগ্রামে কখন পরাজিত হয় না, এবং সৰ্ব্বাংশেই অামার মনোমভ কার্য্য করিয়া থাকে, তুমি শীঘ্ৰ সেই নীলমেঘাকার ভীমবেগ বলগৰ্ব্বিত মহান রাক্ষস সকলকে রণসজ্জা করিতে বল । আমার শরাসন বিচিত্র অসি ও শাণিত শক্তি আনয়ন কর, এবং রথেও অশ্ব যোজনা করাইয়। দেও । আমি দুৰ্ব্বিণীত রামের ৰথ সাধনার্থ সৰ্ব্বাগ্রেই যাত্রা করিব । তখন দূষণের আদেশে রথ নানাবর্ণ অশ্বে যোজিত হইয়া ! আনীত হইল। উহা স্থৰ্য্যের ন্যায় উজ্জ্বল, এবং সুমেৰুশৃঙ্গের ন্যায় উন্নত ; উহার চক্র মুবর্ণময় এবং কুবর বৈদুৰ্য্যময় ; উৎ তপ্তকাঞ্চনখচিত, কিঙ্কিণীজালমণ্ডিত ও ধ্বজদণ্ডসম্পন্ন ; উহার এক স্থানে খড়গ রহিয়াছে এবং ইভস্তত সুবর্ণনিৰ্ম্মিত মৎস্য, পুষ্প, বৃক্ষ, পৰ্ব্বত, চন্দ্র, সুর্য্য, তারা, ও মাঙ্গল্য পক্ষী শোভিত হইতেছে । খর ক্রোধাভরে সেই মহারথে আরোহণ করিল ! তদর্শনে ঘোরচর্মধারী ধ্বজদগুশোভিত ভীমবিক্রম রাক্ষসগণ আসিয়া উহাকে বেষ্টন করিল । মহাবল থর উহাদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত পূর্বক হৃষ্টমনে কছিল, এক্ষণে তোমরা আর বিলম্ব করিও না শীঘ্রই যুদ্ধার্থ নিৰ্গত হও । অনন্তর সেই চতুর্দশ সহস্র রাক্ষস মুষল, মুদগর, পটিশ, ' শূল, সুতীক্ষ পরশু, খড়গ, চক্র, প্রদীপ্ত তোমর, শক্তি, ঘোর