পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । १ তীরস্থ বনমধ্যে কোন কোন স্থান একান্তই রমণীয় । ঐ দেখ, ইহার নির্মল জলে পদ্ম সকল পবনাঘাতজনিত তরঙ্গবেগে বারংবার আহত হইতেছে । লক্ষণ । আমি সেই পদ্মচক্ষু পদ্মপ্রিয় জানকীরে না দেখিয়া আর প্রাণ ধারণ করিতে পারি না । অনঙ্গের কি কুটিলতা, এক্ষণে আমার জানকী নাই, ভঁাহাকে যে শীঘ্ৰ পাইব, তাহারও সম্ভাবনা দেধি না, এ সময় অনঙ্গেরই প্রভাবে সেই মধুরভাষিণী আমার স্মৃতিপথে উদিত হইতেছেন । যদি এই বৃক্ষশোভী বসন্তু আমাকে অধিকতর নিপীড়িত না করিত, ভাহা হইলে আমি উপস্থিত কামবিকার অনায়াসে সংবরণ করিতে পারি তাম । বৎস! সংযোগাবস্থায় যে গুলি চক্ষে রমণীয় ছিল, বিরহে সেই গুলিই কদৰ্য্য বোধ হইতেছে । এই সকল পদ্মপত্র সীতার নেত্রকোশ সদৃশ এবং পদ্মপরাগবাহী বৃক্ষান্তর নিঃসৃত মনোহর বায়ু সীতারই নিশ্বাসানুরূপ, সন্দেহ নাই । লক্ষণ ! এই পপার দক্ষিণ ভটে গিরিশিখরোপরি কনিকার বৃক্ষ বিকসিত হইয়া অপূৰ্ব্ব শোভা ধারণ করিয়াছে। ঐ পৰ্ব্বতে বিস্তর ধাতু আছে, এক্ষণে উহা বায়ুবেগে বিঘটিত হইয়া উদ্ভউীন হইতেছে। ঐ সকল পাৰ্ব্বত্য সমতল স্থান পত্রশূন্য পুম্পিত রমনীয় কিংশুক বৃক্ষে যেন প্রদীপ্ত হইয়া রহিয়াছে। এই দেখ, মালতী, মল্লিকা, পদ্ম, করবীর প্রভৃতি মধুগন্ধী বৃক্ষ সকল জন্মি