পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২৩

>> o রামায়ণ । তাছা হইলে যুদ্ধে সেই কুটিল রাক্ষসকে কখন বিনাশ করিতে পরিবেন না ; সুতরাং আপনি শোক দূর করুন, উৎসাহ রক্ষা করা আপনার আবশ্বক, ইহাতে সেই রাক্ষসকে সপরিবারে সংছাঁর করিতে পরিবেন। ভtহার কথা দূরে থাক, এই শৈলকাননপরিবৃত সসাগর। পৃথিবীকেও বিপৰ্য্যস্ত করিতে সমর্থ হইবেন। এক্ষণে বর্ষার প্রাদুর্ভাব, আপনি শরভের প্রতীক্ষায় থাকুন ; শরৎ উপস্থিত ছইলে, রাবণকে সরাষ্ট্র ও সগণে বিনাশ করিবেন । আর্য্য ! হোমকালে আহুতি দ্বারা যেমন ভস্মাচ্ছন্ন অনলকে প্রদীপ্ত করে, ভদ্রপ আমি কেবল আপনার প্রচ্ছন্ন শক্তি উত্তেজিত করিতেছি, জানিবেন। তখন রাম, লক্ষণের এই শ্রেয়স্কর বাক্যে সবিশেষ প্রশংসা করিয়া কছিলেন, বৎস! হিতকারী অনুরক্ত বীরের যাহা বলিবার, তুমি তাছাই বলিলে । আমি এই কাৰ্য্যনাশক শোক পরিত্যাগ করলাম । বিক্রম প্রকাশের সময় অপ্রতিহত ভেজ সন্ধুক্ষিত করা আবশ্যক সন্দেহ নাই। এক্ষণে আমি শরভের প্রতীক্ষায় থাকিলাম, তুমি আমায় যেরূপ কছিলে, আমি তাহাঁতে সম্মত হইলাম। অতঃপর সুগ্ৰীব প্রসন্ন হউন, উপকৃত বীরের প্রত্যুপকার কখন বিস্মৃত ছন না, যদি অকৃতজ্ঞ হইয়া তদ্বিষয়ে পরায় খ হন, ইহাতে সাধুগণের মন একান্ত উদাস কইয়া থাকে ।