পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । > 、Q ভরে সমধিক পুস্পরস পান পূর্বক উদগীর আরস্তু করিয়াছে। জম্ব বৃক্ষে অঙ্গারখণ্ডতুল্য রসাল জস্ব ফল, শাখায় লম্বমান, যেন ভূঙ্গের শাখা পান করিতেছে । মেঘে ৰিদ্যুৎরূপ পতাকা, দেখিলে উছ সমরোৎসুক হস্তীর ন্যায় বোধ হয় । ঐ একটা মাতঙ্গ বনপ্রবেশ করিতেছিল, ইত্যবসরে মেঘগর্জন শ্রবণে প্রতিদ্বন্দ্বীর আগমন আশঙ্কা করিয়া যুদ্ধার্থ তৎক্ষণাৎ ফিরিল। এক্ষণে এই বনের নানা ভাব, কোথাও ভূঙ্গের গুণ গুণ স্বর, কোথাও ময়ূরের মৃত্য এবং কোথাও বা হস্তী সকল প্ৰমত্ত হইয়াছে। এই স্থান জলে পূর্ণ ; কদম্ব, সর্জ, অজুন ও কন্দল পুষ্প বিকসিত হইতেছে, ইতস্তত ময়ূরের মৃত্য গীত, বোধ হয়, যেন ইহাই পানভূমি । বিছঙ্গগণের পক্ষ বৃষ্টিজলে বিবর্ণ হুইয়াছে, উহারা তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়া পল্লবদললগ্ন মুক্তাকার জলবিন্দু হৃষ্টমনে পান করিতেছে । ঐ শুন, অরণ্যে যেন সঙ্গীতলহরী উত্থিত হইয়াছে । ভূঙ্গরব উহার মধুর বীণা, ভেকের ধ্বনি কণ্ঠতাল এবং মেঘগর্জনই মৃদঙ্গ । ময়ূরগণ পুচ্ছ বিস্তার করিয়া, কখন মৃত্য কখন গান এবং কখন বা বৃক্ষাগ্রে শরীরভার অপর্ণ করিতেছে । নানারূপ নানাবর্ণের ভেক মেঘরবে ব্যাপক কালের নিদ্রা দূর করিয়া, ধারা প্ৰহারে নানা প্রকার শব্দ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে। নদীতে চক্রবাক প্রবাছিত, তীরদেশ স্খলিত হইতেছে, নদী