পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* २७ রামায়ণ | সগৰ্ব্বে সমুদ্রে যাইতেছে । সজল নীল মেঘে ঐরূপ মেঘ সংলগ্ন, যেন জ্বলন্ত শৈলে জ্বলন্ত শৈল আসক্ত হইয়াছে। ভূঙ্গের ধোঁতকেসর পদ্মকে আলিঙ্গন পূর্বক কেসরশোভিত কদম্বে গিয়া বসিতেছে। মাতঙ্গ মদমত্ত, বৃষ সকল হৃষ্ট, পৰ্ব্বত রমণীয়, রাজগণ নিশ্চেষ্ট, এ সময় ইন্দ্র মেঘ লইয়া ক্রীড়া করিতেছেন । মেঘ জলভারে গগণতলে লম্বিত, সমুদ্রবৎ গভীররবে গর্জন করিতেছে এবং জলধারায় নদী, তড়াগ, দীঘিকা, সরোবর ও সমস্ত পৃথিবীকে প্লাবিত করিয়া দিতেছে । বৃষ্টির অভ্যন্ত বেগ, বায়ু অতিশয় প্রবল, নদী তট উৎপাটন ও পথরোধ পূর্বক খরপ্রবাহে চলিতেছে। পৰ্ব্বত নৃপতির ন্যায় ইন্দ্র প্রদত্ত পবনোপনীত মেঘরূপ জলকুম্ভ দ্বারা অভিসিক্ত হইয়া যেন আপনার সৌন্দর্য্য ও সমৃদ্ধি প্রদর্শন করিতেছে । আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন, গ্রহ নক্ষত্র আর কিছুই দৃষ্ট হইতেছে না । পৃথিবী নুতন জলধারায় তৃপ্ত, দিজুগুল অন্ধকারে লিপ্ত হইয়া একান্ত অপ্রকাশ আছে । পৰ্ব্বতশৃঙ্গ ধৌত, প্রবল জলপ্রপাত মুক্তণমালার ন্যায় উছাতে শোভা পাইতেছে । নিঝরবেগ প্রস্তরখণ্ডে স্থলিত হইয়া, ছিন্ন হারের ন্যায় দৃষ্ট হইতেছে । চতুর্দিকে জলধারা, ক্রীড়াকালে স্বৰ্গরমণীগণের মুক্তাহার ছিন্ন হইয়াই যেন পড়িতেছে। বিহঙ্গেরা বৃক্ষে লীন, পদাদল মুকুলিত এবং মালতী পুষ্প বিকসিত, বোধ হইতেছে, স্থৰ্য্য