পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৩

ኧo রামায়ণ । চন্দ্রমুখী শ্যামাকে স্মরণ করাইয়া অামায় অতিমাত্র চঞ্চল করিতেছে । ঐ দেখ, মুরম্য শৈলশৃঙ্গে মৃগী সহিত বহুসংখ্য মৃগ ; আমি মৃগলোচনা জানকীর বিরহে কাতর হইয়াছি, এক্ষণে উহারা ইতস্তত বিচরণ করিয়া অামার মন আরও ব্যথিত করিতেছে । এক্ষণে যদি আমি এই উন্মত্তপক্ষিসঙ্কল শিখরোপরি সীতাকে দেখিতে পাই, তবে সুখী হইব । সেই ক্ষীণমধ্য যদি আমার সহিত এই পম্পার বিশুদ্ধ বায়ু সেবন করেন, তবেই আমি বাচিব । দেখ, কতপুণ্যেরাই এই পদ্মগন্ধী প্রফুল্লকর নির্মল বায়ুর হিল্লোলে ভ্রমণ করিয়া থাকেন । বৎস! সেই পরবশ জানকী কিরূপে জীবিত আছেন? সত্য বাদী ধাৰ্ম্মিক রাজা জনক তাহার কুশল জিজ্ঞাসিলে, আমি সকলের সন্নিধানে বল র্তাহাকে কি বলিয়া প্রত্যুত্তর দিব? আমি পিতৃনিদেশে বনবাসোদ্দেশে যাত্রা করিলে, যিনি কেবল ধর্মের অনুরোধ রক্ষা করিয়া এই মন্দভাগ্যের অনুসরণ করিয়াছেন, জানি না, এখন তিনি কোথায়। আমি রাজ্যচু্যত হইয়া হতবুদ্ধি হইস্নাছিলাম, তথাচ যিনি আমার সহচরী হইয়াছেন, এক্ষণে আমি র্তাহার বিরহে দীন হইয়া কিরূপে দেহভার বহন করিব ! বৎস! জানকীর চক্ষু পদ্মন্ত্র ধারণ করিতেছে, আলাপ সময়ে অস্ফুট হাস্য র্তাহার ওষ্ঠে মিশাইয়া যায় । এক্ষণে সেই সুন্দর নিস্কলঙ্ক পদ্মগন্ধি মুখখানি না দেখিয়া আমার বুদ্ধি অবসন্ন হই