পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ン○8 রামায়ণ । সমাধি দ্বারা তত্ত্ব দশন এবং কৰ্ম্ম যোগের অনুষ্ঠান বিছিত হইতেছে ; ইহা ত্যাগ করিয়া দুর্লভ কৰ্ম্মফল অনুসন্ধান উচিত বোধ হয় না । রামের জানকী-চিন্তা সভতই জাগরূক, র্তাহার মুখ সহস। শুক হইয়া গেল, তিনি কছিলেন, বৎস! ইজদেব বৃষ্টি দ্বারা পৃথিবীর তৃপ্তি সাধন এবং শস্য উৎপাদন পূর্বক কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন । ঘনঘটা গভীর গর্জনে সৰ্ব্বত্র বর্ষণ করিয়া ক্ষান্ত, উহা নীলোৎপলবৎ শ্যামরাগে দশদিক অন্ধকার করিত, এক্ষণে নির্মদ মাতঙ্গবৎ শান্ত । বায়ু কুটজ ও অজুন পুষ্পের গন্ধ বহন এবং মহাবেগে বিচরণ পূর্বক নিবৃত্ত হইয়াছে । ছত্তীর বৃংহিত ধ্বনি, ময়ূরের কেকৗরব এবং নিঝরের ঝর ঝর শ দ অীর শুনিতে পাওয়া যায় না। রম্যশিখর পর্বত সকল বৃষ্টিজলে ক্ষণলিত ও একান্তই নিৰ্ম্মল, এক্ষণে জ্যোৎস্বীয় লিপ্ত হইয়াই যেন শোভিত হইতেছে । অদ্য শরৎ সপ্তপণ বৃক্ষের শাখায়, চন্দ্র স্থৰ্য্য ও নক্ষত্রের প্রভায় এবং হস্তীর লীলায় ঐ বিভাগ করিয়া প্রণদুভুতি হইয়াছে । কমলদল স্থৰ্যকিরণম্পর্শে বিকসিত, এক্ষণে শ্ৰে), শরৎ গুণে অনেক পদার্থ আশ্রয় করিয়া ইহাতেই সমধিক বিরাজমান আছেন । সপ্তপর্ণের সুগন্ধ বিস্তত ছইতেছে, চতুর্দিকে ভূঙ্গের রব এবং বৃষ ও মাতঙ্গগণ গৰ্ব্বিত ছইয়াছে।