পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ") 。 রামায়ণ । অরণ্য মধ্যে প্রগাঢ় অনুরাগের সহিত মৰ্ম্মথাবেশে মৃদুগমনে উন্মত্ত মাতঙ্গের অনুসরণে প্রবৃত্ত হইয়াছে । ময়ুরগণ পুচ্ছরূপ রমণীয় আভরণ শূন্য হইয়া নদীতটে আসিয়াছিল, এক্ষণে যেন সারসগণের ভৎসনায় বিমনা হইয়া, দীন ভাবে প্রতিনিবৃত্ত হইতেছে। মদবরিবষী করি সকল ভীম রবে হংস ও চক্রবাকগণকে চকিত করিয়া, প্রফুল্লকমলশোভিত সরোবর আলোড়ন পূর্বক জলপান করিতেছে । নদীতে পঙ্ক নাই, বালুকা বিকীর্ণ, জল স্বচ্ছ, হংস ও সারসগণ হৃষ্টমনে কলরব করিয়া বিচরণ করিতেছে । এখন ভেকেরা নীরব, প্রস্রবণ শুস্ক প্রায় এবং বায়ু মৃদুগতি । ঘোরবিয নানা বর্ণের ভুজঙ্গ ৰখার প্রারম্ভে আছারণভাবে মৃতকম্প হইয়াছিল, এক্ষণে ক্ষুধাৰ্ত্ত হইয়। বহু দিনের পরে গৰ্ত্ত হইতে নির্গত হইতেছে । সন্ধ্যা, রাগ রঞ্জিত হইয়া গগন তল পরিত্যাগ করিতেছে এবং চন্দ্রের রমণীয় রশ্মিসংস্পশে তারকা বিকাস পাইতেছে । চন্দ্রই রজনীর সুন্দর মুখ, তারাগণ উীলিত নেত্র এবং জ্যোৎক্ষা বস্ত্র, সুতরাং উহা , শুক্লবসনশোভিত রমণীর ন্যায় দৃষ্ট হইতেছে। সারসের সুপক্ক ধান্য আহারে পরিতৃপ্ত, এক্ষণে আকাশে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া হৃষ্টমনে মহা বেগে পবন কম্পিত মালার ন্যায় যাইতেছে । দেখ, ঐ বিস্তীর্ণ হ্রদের কি শোভা, উ হাতে একটি হংস নিদ্রিত, কুমুদ