পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিস্কিন্ধাকাণ্ড । > > তেছে । তাহার কথা কেমন সুস্পষ্ট হিতকর ও মধুর! আমি অাবার কবে তাহা শুনিব! সেই সাধী অরণ্যবাসে ক্লেশ পাইলেও মুখী ও সস্তুষ্টের ন্যায় আমায় প্রিয়বাক্যেই সম্ভাষণ করিতেন। হা ! জননী যখন জিজ্ঞাসিবেন, বধু জানকী কোথায় এবং কি প্রকার আছেন ? তখন আমি তাহাকে কি বলিব! ভাই লক্ষণ ! তুমি গৃহে যাও, গিয়া ভ্রাতৃবৎসল ভরতকে দেখ, আমি জানকী ব্যতীত এ প্রত্ন আর রাখিতে পারিব না। - লক্ষণ, মহাত্মা রামকে অনাথবৎ বিলাপ ও পরিতাপ করিতে দেখিয়া যুক্তি ও অর্থসঙ্গত বাক্যে কহিলেন, আর্য্য, শোক সম্বরণ কৰুন, আপনার মঙ্গল হইবে । দেখুন, পাপস্পর্শ না থাকিলেও শোকাৰ্ত্ত লোকের বুদ্ধি হ্রাস হয় । এক্ষণে বিচ্ছেদভয় মনে অঙ্কিত করিয়া প্রিয়জনের ক্ষেহে বিরত হউন ৷ দীপবৰ্ত্তি আদ্র হইলেও অতিমাত্র তৈলসংযোগে দগ্ধ হইয়া থাকে । আর্য্য । যদি রাবণ পাতালে বা তদপেক্ষাও কোন নিভৃত স্থলে প্রবেশ করে, তথাচ তাহার নিস্তার নাই । অতঃপর আপনি সেই পাপিষ্ঠের বৃত্তান্ত বিদিত হইবার চেষ্টা কৰুন। সে, হয় জানকীকে নয় জীবনকে অবশ্যই ত্যাগ করিবে ! সে যদি অনুরজননী দিতির গর্ভে সীতাকে লইয়া লুক্কায়িত হয়, তথাচ সীতা সমপণ না করিলে, আমি তন্মধ্যেই তাহাকে বধ করিব । আর্য্য! আপনি দীনভাব পরিত্যাগ করিয়া ধৈর্য্যাবলম্বন