পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । >○ ] প্রস্ফুটিত হইয়াছে উহ পূর্ণশশাঙ্কলাঞ্ছিত নক্ষত্রচিত্রিত নিৰ্ম্মল নভোমণ্ডলের ন্যায় দৃষ্ট হইতেছে । অদ্য সরসী डेङ्गुन्বেশ বারযুবভীর ন্যায় বিরাজমান, চপল হংসশ্রেণী উহার । মেখলা এবং প্রফুল পদ্মই মালা । গিরিগম্বর ও বৃষের রব প্রাভাভিক বায়ুসংযোগে উৎপন্ন এবং বেণুস্বরে মিলিত হইয়া, যেন পরম্পরের বৃদ্ধিকল্পে সহায়তা করিতেছে । নদীভটে কণশ কুসুমের অভিনব বিকাস, উহা মৃদুমন্দ বায়ুহিল্পেীলে তরঙ্গিত হইয়া, ধবল পটবস্ত্রের ন্যায় লক্ষিত হুইতেছে। ভূঙ্গেরা মধুপানে উন্মত্ত ও পদ্ধাপরাগে গৌরবর্ণ হইয়া, সন্ত্রণক হৃষ্টমনে গৰ্ব্বিভগমনে বায়ুর অনুসরণ করিতেছে। জল স্বচ্ছ, পুষ্প প্রস্ফটিভ হইতেছে, নিরবচ্ছিন্ন ক্রৌঞ্চের রব, ধান্য সুপক্ক হুইয়াছে, বায়ু মৃদুগতি এবং চন্দ্র একান্তই নিৰ্ম্মল । বৎস! এই সমস্ত লক্ষণ দৃষ্টে বোধ হয়, যেন বর্ষার প্রভাব আর নাই । নদী মৎস্যরূপ মেখলা ধারণ পূর্বক প্রত্যুষে সত্ত্বে গরুশ কামিনীর ন্যায় অলসগমনে যাইতেছে । উহা ছুকূলবৎ কাস পুষ্পে আচ্ছন্ন এবং চক্রবাক ও শৈবালে আকীর্ণ, সুতরাং পত্ররচনা ও গোরোচনায় অলস্কৃত বধুমুখের ন্যায় শোভিত হইতেছে । দেখ, আজ অরণ্যে অনঙ্গদেবের অত্যন্ত প্রীদুর্ভাব, ইনি প্রচও শরাসন গ্রহণ পূর্বক বিরহিগণকে দণ্ড করিতেছেন । মেঘাবলী সুবৃষ্টি দ্বারা সকলকে তুষ্ট, নদী সরোবর পূর্ণ, এবং >b"