পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । እ ዓ¢ ন্যায় নীলবর্ণ, উহা বায়ুবেগে ক্ষুভিত হইয়া, তরঙ্গ বিস্তার পূর্বক নিরস্তুর গর্জন করিতেছে। উহার মধ্যে প্রকাও উরগ সকল দৃষ্টিগোচর হয়। তোমরা কোন সুযোগে ঐ ইক্ষু সমুদ্র পার হইয়া ভীষণ লোহিত সাগরে যাইও । উছার জল রক্তরণ, তথায় একটা বৃহৎ শাশ্বলী বৃক্ষ আছে । অদূরে বিছগরাজ গৰুড়ের কৈলাস শুভ্র রত্নখচিত গৃহ ; দেবশিল্পী বিশ্বকৰ্ম্মা বহুপ্রযত্নে উছা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । ঐ স্থানে মন্দেহ নামক বিকটদর্শন পৰ্ব্বতপ্রমাণ রাক্ষসগণ শৈলশৃঙ্গ অবলম্বন পূর্বক অধোমুখে লম্বমান আছে । উহার। সুর্য্যোদয়ে সত্তপ্ত ও ব্রহ্মতেজে বিনষ্ট হুইয়া সমুদ্রে নিপতিত হয়, এবং পুনৰ্ব্বার জীবিত হইয়া পূৰ্ব্ববৎ শৈলশৃঙ্গে লম্বিত হইয়া থাকে । পরে ক্ষীরোদ সমুদ্র ; উহা শরৎকালীন মেঘের ন্যায় শ্বেতবর্ণ, তরঙ্গভঙ্গী যেন উছার বক্ষে মুক্তাছারের শোভ বিস্তার করিতেছে । তথায় ঋষভ নামে একটা ধবল পর্বত আছে । ঐ পৰ্ব্বতে পুষ্পবহুল নানাবিধ বৃক্ষ এবং সুদর্শন নামে এক সরোবর দৃষ্ট হইয়া থাকে। সরোবর মধ্যে স্বর্ণকেশররঞ্জিত উজ্জ্বল রজতপদ্ম প্রস্ফুটিত রহিয়াছে, রাজহংসগণ নিরস্তুর বিচরণ করিতেছে, এবং দেবতা, যক্ষ, চারণ, কিন্নর ও অপসরোগণ বিছারার্থ হৃষ্টমনে সতত আগমন করিয়া থাকেন। অনন্তর ভীষণ জলোদ সমুদ্র ; উহাতে ঔৰ্ব্ব নাম ব্রহ্মর্ষির