পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । ১৭৯ আগস্ত্যের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া স্তুতিবাদে উইকে প্রসন্ন করিও এবং উই’র অনুমতি গ্রহণ পূৰ্ব্বক নক্রকুম্ভীরপূর্ণ তাম্রপদী পার হইও । ঐ স্রোতস্বর্তী চন্দনবনে প্রচ্ছন্ন হইয়া, যুবতী যেমন নায়কের, সেইরূপ সাগরের অভিমুখে যাইতেছে। - পরে পাণ্ড্যদেশ, তোমরা গিয়া উহুীর মুক্তামণিমণ্ডিত পুরদ্বারস্থ স্বর্ণকবাট দেখিও । পণ্ড্যিদেশের পরই সমুদ্র ; মহর্ষি অগস্ত্য পারাপীরের জন্য উহার মধ্যস্থলে মহেন্দ পর্বতকে স্থাপন করিয়াছেন । ঐ পৰ্ব্বত স্বর্ণময় ও সুদৃশ্ব, বৃক্ষ ও লতা পুষ্পত্র বিস্তার পূর্বক উহার অপূৰ্ব্ব শোভা সম্পাদন করিতেছে । ঐ পৰ্ব্বতের এক পাশ্ব সমুদ্রের অন্তগত । দেবর্ষি, যক্ষ, অপারা, সিদ্ধ ও চারণগণ উছার ইভস্ততঃ নিরন্তর সঞ্চরণ করিতেছেন এবং প্রতিপর্বে সুররাজ ইন্দ্র তথায় আগমন করিয়া থাকেন । সমুদ্রের পর পারে একটী দ্বীপ দেখা যায়। উহা শতযোজন বিস্তৃত ও স্বর্ণপ্রভায় রঞ্জিত, মনুষ্যেরা তথায় গমন করিতে পারে না । ঐ দ্বীপই ইন্দ্রপ্রভাব দুরাত্মা রাবণের বাসস্থান । দেখ, সমুদ্র মধ্যে অঙ্গীরক নাম্নী এক রাক্ষসী আছে। সে জীবজন্তুগণকে ছায়াযোগে আকর্ষণ পূর্বক ভক্ষণ করিয়া থাকে । ভোমরা গিয়া ঐ দ্বীপের গুপ্ত প্রদেশ সকল নিঃশংসয়ে অন্বে ষণ করিও ।