পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । NS)& সুগ্ৰীবকে কহিলেন, সখে! তুমি যাহা কহিলে, তাহা কিছুই অলীক নহে । অনন্তর সুগ্ৰীব পর দিনে ঐ বীর স্বয়কে শৈলতলে মিষন্ন দেখিয়া বনের সর্বত্র চপলভাবে দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন এবং অদূরে পত্ৰবছল পুস্পিত ভ্রমরশোভিত এক শাল বৃক্ষের শাখা দেখিতে পাইলেন । পরে তিনি তাহা ভগ্ন করিয়া তদুপরি রামের সহিত উপবিষ্ট হইলেন । হনুমানও এক শালশাখা উৎপাটন পূর্বক বিনীত লক্ষণকে বসাইলেন । রাম প্রশান্ত সাগরের ন্যায় উপবেশন করিলে, সুগ্ৰীব অত্যন্ত হৃষ্ট হইয়া প্রীতিভরে হর্ষস্থলিত বাক্যে কহিলেন, সখে! বালী আমায় প্রত্যাখ্যান করিয়াছে । অামার পত্নী অপহৃত । এক্ষণে আমি অতিমাত্র ভীত হইয়া দুঃখিত মনে ঋষ্যমুকে সঞ্চরণ করিতেছি । বালী অামার পরম শক্র, অামি তাহার ভয়ে সততই উদ্বিগ্ন আছি । তুমি ভয়নাশক, এক্ষণে এই অনাথের প্রতিও প্রসন্ন হও । তখন ধৰ্ম্মবৎসল রাম ঈষৎ হাসিয়া সুগ্ৰীবকে কহিলেন, সখে! লোক উপকারে মিত্ৰ অপকারে শক্ত হইয়া থাকে। এক্ষণে বালী কাৰ্য্যদোষে তোমার শক্র হইয়াছে, অতএব আমি আজিই তাহাকে বিনাশ করিব । আমার এই স্বর্ণখচিত খরভেজ শর কঙ্ক পত্রে অলঙ্কত সুতীক্ষ পর্ব ও বজসদৃশ । ইহা শরবনে