পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 রামায়ণ । লাগিলেন ; কিন্তু সেই মহাবল উইাদিগকে অপসারণ পূর্বক বহির্গত হইলেন। তখন আমিও ভ্রাতৃস্নেহে উইারই পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলাম । অনন্তর মায়াবী দূর হইতে আমাদিগকে দেখিয়া ভাতমনে পলায়ন করিতে লাগিল । আমরাও দ্রুতপদে ধাবমান হইলাম। ঐ সময় চন্দ্রোদয় হইতেছিল, পথ সুস্পষ্ট দেখা যাইতেছে ৷ ইত্যবসরে মায়াবী মহাবেগে এক বিস্তীর্ণ তৃণাচ্ছন্ন দুর্গম ভূবিবরে প্রবেশ করিল । আমরাও গিয়া উহার দ্বার অবরোধ করিলাম । বালী উহাকে ঐ গৰ্ত্তমধ্যে প্রবিষ্ট দেখিয়া রোষাবিষ্ট হইলেন এবং ক্ষুব্ধমনে আমাকে কছিলেন, সুগ্ৰীব ! তুমি এক্ষণে সাবধান হইয়া এই দ্বারে দাড়াইয়া থাক । আমি বিবরে প্রবেশ ও সমরে শত্রু নাশ করিব । আমি এই কথা শুনিয়া ভঁাহার সহিত প্রবেশের প্রার্থনা করিলাম । কিন্তু তিনি দ্বারদেশে থাকিবার নিমিত্ত আমাকে পাদস্পর্শ পূর্বক শপথ করাইয়া তন্মধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন । অনন্তর এক বৎসরেরও অধিক কাল অতিক্রান্ত হইয়া গেল । অামি বিলম্বারে দণ্ডায়মান, ভাবিলাম, বালী নিহত হইয়াছেন । স্নেহ বশত মনে অভ্যস্ত ভয় উপস্থিত হইল এবং নানা প্রকার অনিষ্ট আশঙ্কণ হইতে লাগিল । পরে বন্ধ কাল অতীত হইলে দেখিলাম, সেই বিবর হইতে উষ্ণ ৰুধির নির্গত হইতেছে । তদর্শনে