পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R রামায়ণ | স্মরণে শোকাকুল রহিয়াছি, তথাচ এই শুভদৰ্শনা পম্পী আমার অত্যন্তই সুন্দর বোধ হইতেছে । ঐ দেখ, নীলপীতবর্ণ তৃণময় স্থান কি মুদৃশ্য, বৃক্ষের বিবিধ পুষ্প পতিত হওয়াতে । উহা যেন চিত্র কম্বলে আৰ্ত্তীর্ণ রহিয়াছে। ইতস্তত পুষ্পস্তবকশোভিত লতা, ঐ গুলি গিয়া পুষ্পভারপূর্ণ বৃক্ষের অগ্র শাখা আলিঙ্গন করিতেছে । বৎস! এক্ষণে কামোদীপক বসন্তু উপস্থিত, মুখস্পর্শ বায়ু বহিতেছে ; পুপ প্রস্ফুটিত হইতেছে এবং সৰ্ব্বত্রই সুগন্ধ। ঐ দেখ, মেঘ যেরূপ জল বর্ষণ করে, সেইরূপ এই পুষ্পিত বন পুষ্প বর্ষণ করিতেছে। বৃক্ষ সকল বায়ুবেগে কম্পিত হওয়াতে মুরম্য শিলাতল পুষ্পে সমাকীর্ণ হইয়াছে। অনেক পুষ্প পড়িয়াছে অনেক পুষ্প পড়িতেছে, এবং অনেক পুষ্প বৃক্ষে রহিয়াছে, সুতরাং সৰ্ব্বত্র বায়ু যেন পুষ্প গুলিকে লইয়া ক্রীড়া আরম্ভ করিয়াছে । শাখা সকল বিকসিত কুসুমে সমাচ্ছন্ন, বায়ু তৎসমুদায় কম্পিত করত বহিতেছে এবং ভ্রমরগণ গুণ গুণ স্বরে উহার অনুসরণে প্রবৃত্ত হইয়াছে । ঐ দেখ, উহা গিরিগুহা হইতে গম্ভীর রবে নিষ্কান্ত হইতেছে, বোধ হয়, যেন স্বয়ং সঙ্গীত করিতেছে এবং মদমত্ত কোকিলের" কণ্ঠস্বর দ্বারা বৃক্ষ গুলিকে মৃত্য শিখাইতেছে । উহা চন্দনশীতল মুখস্পর্শ সুগন্ধি ও শ্রাত্তিহারক। উহার বেগে বৃক্ষ সকল নীত হইয়া, শাখাসংযোগে যেন পরস্পর গ্রথিত হইয়া