পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । 85 পারিব। অথবা আমি আজিকার এই রাত্রি ক্রোধ সংবরণ করিয়া রাখি, হুর্যের উদয় কাল পর্য্যন্ত তোমার ভোগ সাধনের জন্য প্রতীক্ষা করিব । তুমি কপিকুলের অধিপতি, এক্ষণে তাহাদিগকে আলিঙ্গন পূর্বক প্রীতির উপহারে তৃপ্ত কর, কিষ্কিন্ধা নগরীকে মনের মুখে দেখিয়া লও এবং সুহৃৎগণকে আমন্ত্রণ ও আত্মতুল্য কোন ব্যক্তির উপর রাজ্যভার অর্পণ কর । আমি কল্য নিশ্চয়ই তোমার দর্প চূর্ণ করিব । নিরস্তু, অসাবধান, রুশ ও তোমার সদৃশ মদোন্মত্তকে বধ করিলে ক্রণহত্যার পাপ জন্মে, সুতরাং নিরস্ত হইলাম , তুমি সচ্ছন্দে গিয়া স্ত্রীসম্ভোগ কর । বালী এই কথা শুনিয়া ক্রোধাবিষ্ট হইলেন এবংভার প্রভৃতি স্ত্রীদিগকে ৰিদায় দিয়া হাস্যমুখে ঐ মুখকে কহিলেন, দেখ যদি তুই যুদ্ধে নির্ভয় হইয়া থাকিস্ত, তবে আর আমায় মত্ত বোধ করিস না ; আমার এই মত্তত উপস্থিত যুদ্ধের বীরপান বলিয়া অনুমান কর । বালী এই বলিয়া, পিতৃদত্ত স্বর্ণহার কণ্ঠে ধারণ পূর্বক ক্ৰোধভরে যুদ্ধার্থ দণ্ডায়মান হইলেন এবং ঐ পৰ্ব্বতাকার অস্বরকে শৃঙ্গে গ্রহণও উৎক্ষেপণ পূর্বক সিংহনাদ করিতে লাগিলেন । দুন্দুভির কর্ণবিবর হইতে শোণিতধারণ বহিতে লাগিল । উভয়েই জিগীষার বশবৰ্ত্তী । তুমুল যুদ্ধ উপস্থিত হইল । ইন্দ্রবিক্রম বালী দুন্দুভিকে মুষ্টি, জানু, পদ, শিলা ও বৃক্ষ প্রহারে প্রবৃত্ত [ a