পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& a রামায়ণ | হইলেন। দুদুভিও প্রতিগুহার করিতে লাগিল এবং দেখিতে দেখিতে হীনবল হইয়া পড়িল । তখন বালী বলবিক্রমে বৰ্দ্ধিত হইলেন এবং উহাকে উত্তোলন পূর্বক ভূতলে নিক্ষেপ করিলেন। সুন্দুভি চূর্ণ হইয়া গেল । উহার কর্ণও নাসা হইতে রক্তস্রোত প্রবাহিত হইতে লাগিল এবং সে যেমন পড়িল, অমনিই পঞ্চত্ৰ লাভ করিল ৷ অনন্তর বালী ঐ মৃত বিচেতন অসুরকে তুলিয়া, এক বেগে যোজন দূরে ফেলিয়া দিলেন । নিক্ষিপ্ত হইবার কালে উহার মুখ হইতে রক্তবিন্দু বায়ুবশাহু মতঙ্গের আশ্রমে পতিত হইল। তদর্শনে মহর্ষি সহসা ক্রোধাবিষ্ট হইলেন । ভাবিলেন, এ কাহার কার্য? যে দুরাত্মা আমায় শোণিতষ্পর্শে দূষিত করিল, সেই দুৰ্বত্ত নিবোধ মুখ কে ? মতঙ্গ এই চিন্তা করিয়া নিষ্কৃত্তি হইলেন এবং ভূতলে এক পৰ্ব্বতাকার মৃত মহিষকে পতিত দেখিতে পাইলেন। তিনি তপোবলে উহা বানরেরই কার্য্য বুঝিয়া, এই রূপ অভিসম্পাত করিলেন, যে বানরের এই কৰ্ম্ম, সে অামার আশ্রমে কদাচ আসিতে পাইবে না, আইলে তৎক্ষণাৎ মরিবে । যে, श्रीगात्व আশ্রমপদ দূষিত করিয়াছে এবং এই অমুরদেহ দ্বারা বৃক্ষ সকল ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছে, সেই নির্বোধ, যদি আমার এই তপোবনের এক যোজনের মধ্যে আইসে, তদ্বণ্ডেই মৃত্যুমুখে