পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । QS) য়াছি এবং ঋষ্যমুকে প্রবেশ পূর্বক সৰ্ব্বপ্রধান হনুমান প্রভৃতি অনুরক্ত মন্ত্ৰীগণের সহিত এই নিবিড় বনে পর্য্যটন করিতেছি । রাম! তুমি একান্ত মিত্রবৎসল। তোমার ন্যায় সৎ ও প্রশংসনীয় মিত্রকে পাইয়া, আমি যেন হিমালয়ের আশ্রয়ে রহিয়াছি । কিন্তু বলিতে কি, সেই বলশালী দুরাচার বালীর বল আমার মনে সততই জাগিতেছে । তোমার সাংগ্রামিক বিক্রম কিরূপ, আমি কখন তাহা প্রত্যক্ষ করি নাই । যাহাই হউক, এক্ষণে তোমাকে তুলনা অবমাননা বা ভয় প্রদর্শন করিতেছি না, কিন্তু বালীর ভীমকার্য্যে স্বয়ংই ভীত হইয়াছি । সখে ! তোমার কথাই আমার প্রমাণ ! তোমার এই আকৃতি ও সাহস ভস্মাচ্ছন্ন অনলের ন্যায় অপূর্ব তেজ বিকাশ করিতেছে। তখন রাম সহাস্যমুখে কহিলেন, সুগ্ৰীব ! যদি আমাদের বল বিক্রমে তোমার বিশ্বাস না হইয়া থাকে, তবে তুমি যুদ্ধে যাহার শ্লাঘা করিতে পারিবে, আমি এখনই তোমার মনে এইরূপ প্রত্যয় জন্মাইয়া দিতেছি । মুহাবীর রাম সুগ্ৰীবকে এই রূপে প্রবোধ দিয়া, চরণের বুদ্ধাজুলি দ্বারা অবলীলাক্রমে দুন্দুভির শুষ্ক দেহ দশ যোজন দূরে নিক্ষেপ করিলেন । তখন সুগ্ৰীব তাহা দেখিয়া, লক্ষণ ও বানরগণের সমক্ষে হর্য্যের ন্যায় প্রখর রামকে পুনৰ্ব্বার মুসঙ্গত বাক্যে কহিলেন, রাম! তখন বালী মদবিহ্বল ও ক্লান্ত হইয়া রসার্স