পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N:yo রামায়ণ | অনন্তর রাম এক নিবিড় বন দর্শন করিয়া সুগ্ৰীবকে জিজ্ঞাসিলেন, সখে ! গগনে ঘন মেঘের ন্যায় ঐ একটা বন দৃষ্ট হইতেছে । উহার প্রান্তভাগ কদলী বৃক্ষে পরিবৃত ৷ এক্ষণে বল, উহা কোন বন ? শুনিতে আমার একান্তই কৌতুহল হইতেছে । - তখন সুগ্ৰীব গমন করিতে করিতেই কহিতে লাগিলেন, সখে ! এই আশ্রম সুবিস্তীর্ণ ও শ্রান্তিনাশক । ইহাতে উৎকৃষ্ট উদ্যান অাছে এবং সুস্বাদু ফলমূলও যথেষ্ট পাওয়া যায় । এই স্থানে সপ্তজন নামে ব্রতপরায়ণ সাত জন ঋষি ছিলেন । র্তাহারা অধঃশিরা হইয়া থাকিতেন এবং নিয়ত জলমধ্যে শয়ন ও সাত দিন অন্তর বায়ু ভক্ষণ করিতেন । ঐ সমস্ত অচলবাসী ঋষি সাত শত বৎসর তপস্যা করিয়া সশরীরে স্বর্গে গিয়াছেন । উইাদের তপঃপ্রভাবে এই তৰুগহন আশ্রম ইন্দ্রাদি মুরাসুরগণেরও অগম্য হইয়া আছে । বনের পশুপক্ষী এবং অন্যান্য জীবজন্তুও ইহাতে প্রবেশ করে না । যাহারণ মোহ বশত প্রবিষ্ট হয়, তাহারা কালগ্রস্ত হইয়া থাকে । এই স্থানে অপ্রসরোগণের ভুষণরব, সুমধুর কণ্ঠস্বর, তুর্য্যধ্বনি ও গীতশব্দ শুনিতে পাওয়া যায় এবং দিব্য গন্ধও সতত অনুভূত হইয়া থাকে। ইহাভে গাছপত্য প্রভৃতি ত্ৰিবিধ অগ্নি জ্বলিতেছে । ঐ দেখ, তাহার কপোতবৎ অৰুণ বর্ণ ঘন ধুম উত্থিত হইয়া, যেন বৃক্ষের অগ্রভাগ আবৃত করি