পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । N,:, প্রিয়ে! তুমি আমাকে সৎ পরামর্শ দিলে এবং আমার প্রতি স্নেহও দেখাইলে । এক্ষণে আমার দিব্য, এই সমস্ত স্ত্রীলোককে সঙ্গে লইয়া নিবৃত্ত হও । নিশ্চয় কহিতেছি, আমি সুগ্ৰীবকে কেবল পরাস্ত করিয়া অভ্যাসিব । তখন প্রিয়বাদিনী তারা বালীকে আলিঙ্গন পূর্বক মন্দ মন্দ অশ্রু বিসর্জন করত প্রদক্ষিণ করিলেন । তিনি উষ্ঠার জয়ন্ত্রী লাভার্থ মস্কোচচারণ করিয়া স্বস্ত্যয়ন করিতে লাগিলেন এবং শোকে মোহিত হইয়া সহচরীদিগের সহিত অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । অনন্তর বালী ভুজঙ্গের ন্যায় ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলিতে ফেলিতে ক্রোধাভরে নগরী হইতে বেগে বহির্গমন করিলেন এবং স্বগ্রীবের সন্দর্শনার্থ সৰ্ব্বত্র দৃষ্টি প্রসারণ করিতে লাগিলেন । দেখিলেন, স্বর্ণপিঙ্গল সুগ্ৰীব কটিতট সুদৃঢ় বন্ধন পূর্বক জ্বলন্ত অনলের ন্যায় দণ্ডায়মান রহিয়াছেন । তখন ঐ মহাবাহু মহাবীর বালী, গাঢ় বন্ধনে বস্ত্র পরিধান পূর্বক যুদ্ধার্থ মুষ্টি উত্তোলন করিয়া, উহার দিকে ধাবমান হইলেন । সুগ্ৰীবও ক্ৰোধতরে বজমুষ্টি উদ্যত করিয়া, আরক্তলোচনে উহার অভিমুখে আগমন করিতে লাগিলেন । তখন বালী উছাকে কহিলেন, দেখ, আমি অঙ্গুলি সংশ্লিষ্ট করিয়া সুদৃঢ় মুষ্টি বন্ধন করিয়াছি । আজ মহাবেগে ইহা প্রহার করিয়া তোর প্রাণ সংহার করিব । তখন সুগ্ৰীবও