পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१० রামায়ণ | ক্রোধাবিষ্ট হইয়া কহিলেন, আজ আমিও এই মুষ্টি দ্বারা তোর মস্তক চূর্ণ করিয়া, এই দণ্ডেই তোকে মৃত্যুমুখে ফেলিব । অনন্তর বালী মুগ্রীবকে বেগে আক্রমণ পূর্বক প্রহার করিতে লাগিলেন । তখন পৰ্ব্বত হইতে জলপ্রপাতের ন্যায় সুগ্ৰীবের সৰ্ব্বাক্ষ হইতে শোণিতপাত হইতে লাগিল । তিনি নির্ভয় হইয়া, তৎক্ষণাৎ মহাবেগে এক শাল বৃক্ষ উৎপাটন পূর্বক, যেমন পৰ্ব্বতের উপর বজ নিক্ষেপ করে,সেইরূপ বালীর উপর তাহা নিক্ষেপ করিলেন । তখন বাণীবৃক্ষ প্রহারে ভগ্ন হইয়াসাগরমধ্যে গুৰুভারাক্রান্ত নৌকার ন্যায় বিহ্বল হইয় পড়িলেন । উভয়ে ভীমবল ও পরাক্রান্ত, উভয়ের বেগ গৰুড়ের তুল্য প্রবল, উভয়ে ভীমমূৰ্ত্তি ও রণদক্ষ এবং উভয়েই পরস্পরের রন্ধান্বেষণে তৎপর। তৎকালে উইরো আকাশের চন্দ্রস্তুৰ্য্যের ন্যায় দৃষ্ট হইলেন এবং তুমুল যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়া, শাখাবহুল বৃক্ষ, শৈলশৃঙ্গ, বজকোটিপ্রখর নখ, মুষ্টি, জানু, পদ ও হস্ত দ্বারা পরস্পরকে বারংবার প্রহার করিতে লাগিলেন । বোধ হইল যেন, ইন্দ্র ও বৃত্ৰাক্ষর যুদ্ধ করিতেছেন । দুই জনেরই দেহ ক্ষতবিক্ষত ও শোণিত ধারায় সিক্ত। উছারা মহা মেঘবৎ গর্জন করিয়া পরস্পরকে তর্জন করিতে লাগিলেন । ইত্যবসরে মহাবীর বালীর বৃদ্ধি এবং সুগ্ৰীবের হীনতা দৃষ্ট হইল । তাহার দৰ্প চর্ণ হুইয়া গেল । তিনি বালীর প্রতি যৎপরোনাস্তি ক্রোধা