পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও । S०१ অনন্তর তাড়ক বাল্যকাল অতিক্রম করিয়া যুবতী ও রূপবতী হইলে সুকেতু তাহাকে জন্তু-নন্দন মুন্দের হস্তে সমর্পণ করে । কিয়ৎ কাল অতীত হইলে ঐ ভাড়কার গর্ভে মারীচ নামে এক পুত্র জন্মে। বৎস! এই মারীচ শাপ প্রভাবে রাক্ষস হইয়াছিল। এক্ষণে যে কারণে ইহার এইরূপ রাক্ষসত্ব লাভ হয়, তাহাও’ শবণ কর । মহর্ষি অগস্ত্য কোন অপরাধে মুন্দকে বিনাশ করিলে তাড়কা ও মারীচবৈরনির্যাভনে অভিলাষ করিয়াছিল । তাড়ক ক্রোধে তর্জন গর্জন পূৰ্ব্বক ঋষিকে ভক্ষণ করিবার নিমিত্ত মহাবেগে ধাবমান হইল। তখন ভগবান অগস্ত্য সুকেতুমুতাকে এই রূপে আগমন করিতে দেখিয়া মারীচকে কছিলেন, রে দুষ্ট! তুই আমার অভিশাপে রাক্ষস হইয়া থাকৃ। তিনি মারীচকে এইরূপ কহিয়া রোষকষায়িতলোচনে তাড়কাকেও কছিলেন, যক্ষি! তুই বিরুতবেশে বিকটাস্যে মনুষ্য-ভক্ষণে অভিলাষী হইয়াছিয়, অতএব অবিলম্বে এই যক্ষীরূপ পরিভ্যাগ করিয়া দাৰুণ রাক্ষসীরূপ ধারণ কর । বৎস! এক্ষণে সেই তাড়কা অগস্ত্য-শাপে জাভক্রোধ হইয়া অগস্ত্যেরই এই পবিত্র অপভ্রম উৎসন্ন করিতেছে । তুমি গো-ব্রাহ্মণের হিতের মিমিত্ত এই দুৰ্বত্তাকে বিনাশ কর । ত্ৰিলোক মধ্যে তোমা ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তিই এই শপএন্তা ( 28 )