পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. বলিকাও ৷ סטל প্রবাহিত হইতেছেন । উপহার নাম কৌশিকী । ঐ দিব্য নদী অতি রমণীয় ও উহার জল অতি পবিত্র । বৎস! অামি এক্ষণে কৌশিকীর স্নেহে আবদ্ধ হইয়া হিমালয়ের পাশ্বে পরম মুখে নিরস্তুর কাল যাপন করিয়া থাকি । অামার ভগিনী সরিদ্বর সত্যবতী অতি পুণ্যশীল ও পতিপরায়ণা। ধর্ম ও সত্যে র্তাহার যথোচিত অনুরাগ আছে। অামি কেবল যজ্ঞসিদ্ধির অপেক্ষায় তাহকে পরিত্যাগ করিয়া সিদ্ধাশ্রমে আসিয়াছি। এক্ষণে তোমারই তেজঃপ্রভাবে আমার মনোরথ পূর্ণ হই- ' য়াছে । বৎস! এই আমি তোমার নিকট আমার ও আমার. বংশের উৎপত্তি কীৰ্ত্তন করিলাম এবং তুমি আমাকে যাহা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলে, সেই দেশের বিষয়ও সবিশেষ কছিলাম। এক্ষণে কথা-প্রসঙ্গে অৰ্দ্ধ রাত্রি অতীত হইয়াছে । নিদ্রিত হও । নতুবা পথ পৰ্যটনে বিঘ্ন উপস্থিত হইবে । বৎস! ঐ দেখ, বৃক্ষ সকল নিস্পদ ও মৃগ পক্ষিগণ নীরব রহিয়াছে। চারি দিক রজনীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন । ক্রমশঃ অৰ্দ্ধ প্রহর অবসান হইয়া আসিল । নভোমণ্ডল নেত্রের ন্যায় নক্ষত্র সমুহে পরিপূর্ণ এবং উহাদিগের নির্মল প্রভার সমাকীর্ণ হইয়াছে। এ দিকে চন্দ্র স্বীয় আলোকে লোকের মন পুলকিত করত অন্ধকার ভেদ করিয়া উদয় হইতেছেন। মাসাংশী ক্র,রস্বভাব যক্ষ রাক্ষস প্রভৃতি রজনীচর প্রাণিসকল ইতস্তত সঞ্চরণ ( \v )