পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও । לכלכ অকাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছিন্ন ; অতএব আমার অভিশাপে এখনই তোর বৃষণ ভূতলে স্খলিত হইয়া পড়িবে। মহর্ষি সরোধে এই কথা বলিবামাত্র বৃত্ৰনিস্থদন ইন্দ্রের বৃষণ তৎক্ষণাৎ স্থলিত ও ভূতলে নিপতিত হইল। তিনি ইন্দ্রকে এইরূপ অভিশাপ দিয়া অহল্যাকেও কছিলেন, রে দুঃশীলে ! তোরেও এই আশ্রমে অন্যের অদৃশ্য হইয়া ভস্মরাশিতে শয়ন পূৰ্ব্বক বায়ুমাত্র ভক্ষণে কালযাপন করিতে হইবে । আত্মকৃত কার্য্যেয় নিমিত্ত ভোর অনুতাপের অণর পরিসীমা থাকিবে না । এই রূপে বহু সহস্ৰ বৎসর অতীত হুইবে । এক সময়ে দশরথতনয় রাম এই ঘোর অরণ্যে আগমন করিবেন। তুই লোভ ও মোহের বশবৰ্ত্তিনী না হইয়া উপহার অতিথ্য করিবি, উহার অভিধ্য করিলে নিশ্চয়ই ভোর এই পাপ ধ্বংস হইয়া যাইবে । এইরূপ হইলে পুনৰ্ব্বার পূর্বরূপ প্রাপ্তি ও জামার সহিত সন্মিলন হইতে পরিবে । মহাতেজ মহর্ষি গৌতম দুঃশীল অহল্যাকে এই কথা বলিয়া স্বীয় আশ্রমপদ পরিত্যাগ পূর্বক সিন্ধ-চারণ-সেবিত পরম রমণীয় হিমাচল শিখরে গিয়া তপস্যা করিতে লাগি লেন ।