পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ 8 २. রামায়ণ । বেশে ভাবভঙ্গী প্রকাশ করিয়া এই মহর্ষির চিত্ত বিকীর উৎপা দন কর । - অনন্তর সর্বাঙ্গসুন্দরী রম্ভ। ইন্দ্রের আদেশে উজ্জ্বল সাজে। সজ্জিত হইয়া হাসিতে হাসিতে বিশ্বামিত্রের নিকট গমন করিল এবং বিশুদ্ধস্বর সংযোগে সঙ্গীত আরম্ভ করিয়া তাহীকে প্রলোভিত করিতে লাগিল । দেবরাজ ইন্দ্রও কোকিল হইয়া কলকণ্ঠে কুন্থরব করিতে লাগিলেন। সঙ্গীতের মধুর স্বর ও কোকিলের কলরব শ্রবণ করিয়া কৌশিক নিতান্তু পুলকিত হইলেন, দেখিলেন, সম্মুখে এক রমণীয়াক্কতি রমণী, আমনি তাহীর মনে সন্দেহ জন্মিল, বুঝিলেন, ইন্দ্রই এই টাতুরী বিস্তার করিতেছেন । তখন তিনি ক্রোধে আরক্তলোচন হইয়া রম্ভাকে কহিলেন, রে পাপীয়সি ! আমি এক্ষণে" কাম ক্রোধের উপর জয়লাভের অভিলাষী হইয়াছি, কিন্তু তুই আমাকে প্রলোভিত করিবার চেষ্টায় আছিস্ ; এই অপরাধে আমি তোকে অভিশাপ দিতেছি, তুই দশ সহস্ৰ বৎসর শিলাময়ী হইয়া থাক্ । কোন সময়ে এক তপঃপরায়ণ তেজস্বী ব্রাহ্মণ আসিয়া ভোরে আমার এই অভিশাপ হইতে উদ্ধার করিবেন । মহর্ষি বিশ্বামিত্র ক্রোধ সংবরণ করিতে না পারিয়া রম্ভণকে এইরূপ অভিশপ প্রদান পূর্বক অতিশয় অনুতপ্ত হইলেন ।