পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৬০

বালকাণ্ড । sဇ် মিথিলায় আগমন করিতে লাগিলেন । আমিও র্তাহাদিগকে এই শরাসন প্রদর্শন করিয়াছিলাম। কিন্তু তাহারা উহ। গ্রহণ কি উত্তোলন কিছুই করিতে পারেন নাই। তপোধন । তৎকালে মহীপালগণের এইরূপ বলবীর্য্যের পরিচয় পাইয়াই অগত্য র্তাহাদিগকে প্রত্যাখ্যান করিতে হইয়াছিল। কিন্তু পরিশেষে কিরূপ ঘটে, তাহাও শ্রবণ কৰুন । ভূপালগণ এইরূপ বীর্ঘ্যশুকে কতকাৰ্য্য হওয়া সংশয়, স্থল বুঝিতে পারিয়া একান্ত ক্রোধাবিষ্ট হইলেন এবং আমিই এই কঠিন পণ করিয়া তাহাদিগকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছি নিশ্চয় করিয়া, বলপূর্বক কন্যা গ্রহণের মানসে মিথিলা অবরোধ করিলেন.। নগরীতে বিস্তর উপদ্রব হইতে লাগিল । আমি দুর্গমধ্যে অবস্থান করিয়া তাহাদিগের সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইলাম। কিন্তু সংবৎসর পূর্ণ হইতেই আমার দুর্গের সমুদায় উপকরণ নিঃশেষিত হইয়া গেল । তদর্শনে আমি যার পর নাই দুঃখিত হইলাম এবং তপঃসাধনে প্রবৃত্ত হইয়া দেবগণের প্রসন্নতা প্রার্থনা করিলাম । অনন্তর তাহারা প্রীত হইয়। আমাকে চতুরক্ষিণী সেনা দিলেন । ভূপালগণের সহিত পুনবার সংগ্রামে অবতীর্ণ হইলাম। বিস্তর নিহত হইতে লাগিল । তখন সেই নিবীৰ্য্য সন্দিগ্ধবীৰ্য্য দুরাচীর পামরের অমাত্য গণের সহিত রণে ভঙ্গ দিয়া চতুর্দিকে পলায়ন করিল। ৩২