পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१७ রামায়ণ । মঙ্গল হইবে । এই মহাভাগ পতিব্ৰতা হউন এবং ছায়ার ন্যায় নিয়ত তোমার অনুগত থাকুন। রাজর্ষি জনক এই { বলিয়া রামের হস্তে মন্ত্রপূত জল নিক্ষেপ করিলেন । দেবতা , ও ঋষিগণ সাধুবাদ করিতে লাগিলেন । দুন্দুভি ধ্বনি ও পুষ্পবৃষ্টি হইতে লাগিল । রাজা জনক মন্ত্রেীচরণ ও উদক প্রক্ষেপ পূর্বক রামচন্দ্রকে সীতা সম্প্রদান করিয়া আনন্দিতমনে লক্ষণকে কহিলেন, লক্ষণ! এক্ষণে তুমি এই স্থানে আগমন কর । তোমার মঙ্গল হউক আমি উর্মিলাকে সম্প্রদান করি, তুমি অবিলম্বে ইহার পাণিগ্রহণ কর । জনক লক্ষণকে এইরূপ কহিয়া ভরতকে কহিলেন, ভরত ! তুমি মাওবীকে গ্রহণ কর। শতকে কহিলেন, শক্রয় ! তুমিও শ্রুতকীৰ্ত্তিকে গ্রহণ কর । তোমরা সকলেই সুশীল ও চরিতত্রত । এক্ষণে আর বিলম্ব না করিয়া পত্নীগণের সহিত সমাগত হও । - অনন্তুর কুমার চতুষ্টয় বশিষ্ঠের মতানুসারে ঐ চারিটি কুমারীর পাণিগ্রহণ করিলেন । তৎপরে তঁহীরা অগ্নি, বেদি, . রাজা জনক ও মহাত্মা ঋষিগণকে প্রদক্ষিণ করিয়া শাস্ত্রোক্ত প্রণালী অনুসারে বিবাহ করিলেন। অন্তরীক্ষ হইতে পুষ্পবৃষ্টি হইতে লাগিল । দিব্য দুন্দুভিধ্বনি সঙ্গীত ও বাদিত্র বাদিত হইতে প্রবৃত্ত হইল । অঙ্গর সকল মৃত্য আরম্ভ করিল।