পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও 8ጓ জন করিয়া পুলকিত মনে মুস্বাদু মোদক ও অন্যান্য নানাপ্রকার ভক্ষ্য দ্রব্য প্রদান করিল । তেজস্ব ঋষ্যশৃঙ্গ সেই সমস্ত ভক্ষ্য ভেণজ্য উপযোগ করিয়া মনে করিলেন, যশহর । নিয়ত অরণ্যবাসে কাল হরণ করিয়া থাকেন, বুঝি এরূপ ফল র্তাহীদের কখনই উদরন্থ হয় নাই । অনন্তর সেই সমস্ত বীরনগরী মহর্ষি বিভাগুকের ভয়ে ভীত হইয়া কোন এক ব্রতচরণ ব্যপদেশে ঋষ্যশৃঙ্গকে সম্ভাষণ পূৰ্ব্বক আশ্রম হইতে প্রভিগমন করিল । তাহারা গমন করিলে খুষ্যশৃঙ্গ নিতান্ত অপ্রসন্নমনা হইয় তাহাদিগের বিরহ-দুঃখে একান্ত অধীর হইয়া উঠিলেন । অনন্তুর তিনি সেই কামিনীগণসংক্রান্ত বিষয় চিন্তা করিতে করিতে পূৰ্ব্ব দিবস যথায় তাহাদিগকে দেখিয়াছিলেন, পরদিবস তদভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন । তখন রমণীগণ ঋষ্যশৃঙ্গকে আগমন করিতে দেখিয়া হৃষ্টমনে র্তাহার প্রত্যুদগমন পূৰ্ব্বক কহিল, সৌম্য! আপনি আমাদিগের আশ্রমে চলুন, তথায় নানাপ্রকার প্রচুর ফলমূল আছে, ভোজন ব্যাপার বিশেষ রূপে, নির্বাহ হইতে পারবে । ঋষ্যশৃঙ্গ অঙ্গনাদিগের এইরূপ হৃদয়হারী বাক্য শ্রবণ করিয়া তৎক্ষণাৎ তাহাতে সম্মত হইলেন । তাহারাও র্তাহাকে সমভিব্যাহারে লইয়া । নগরাভিমুখে যাত্রা করিল।