পাতা:রামারঞ্জিকা.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ७ } কিন্তু আমার মামার মেয়ে কিছুমাত্র লেখাপড়া জানেনা, তাহার স্বামী মরিলে পর তাহার ভাই ও দশজনে পড়িয়া চোকে ধূলা দিয়া সব লুটে পুট লএছে, আজ খান এমন যে ও নাই। উরিহর । তবে দেখ দেখি স্ত্রীলোকের সুবিবেচনা থাকাতে কত উপকার? ইহা গৃহকৰ্ম্মে লাগে– স্বামির কৰ্ম্মে লাগে— সন্তানাদির কৰ্ম্মে লাগে—নিজের কৰ্ম্মেতে ও লাগে। সুবিবেচন লেখা পড়ার চর্চার দ্বারাই হয়। ইউরোপ দেশে মাতাই সন্মানকে প্রথম শিক্ষা দেন। সে শিক্ষা যে কেবল পুস্তকের দ্বারা হয় এমত নহে। নানা প্রকার স্নেহ ও অাদরের কৌশলে মাতা হিতাহিত থাকা বলেন, ঐ হিতাহিত বাক্য তৎকালে শিশুর মনে যেমন বসে এমন পাঠশালায় পড়াতে হয় না, কিন্তু এদেশে স্ত্রীলোকের লেখ পড়া শিখে না, তাহারা সন্তানকে কেমন করিয়া সৎ উপদেশ দিবে? যে ব্যক্তি নিজে অন্ধ সে কি অন্য অঙ্গের হাত ধরিয়| লইয়া যাইতে পারে? এদেশে যদ্যপি স্ত্রীলোকের লেখাপড় জানিত তবে সন্তানদিগের সুশিক্ষা অল্প বয়সে অনায়াসে হইত। ও তাঁহার যে কুকথা ও কুীতি শিখিত ঘরে আসিলে তাহার শোধন হইত। অপর স্ত্রীলোকের লেখাপড়া জানতে আরও এই এক উপকার যে জ্ঞানের প্রতি দৃষ্টি হইলে মন আমাদে থাকে, বার্থ কথায় কাল ক্ষেপণ হয় না এবং সার ও অসার পোধ হয় ওীঘ্ৰ কুমতি হয় না। জ্ঞানকী বিদ্যা শিক্ষায় ধৰ্ম্মে মতি হয় কি না ও অর্থকরী বিদ্য স্ত্রীলোকের শেখা উচিত কি না ইত্যাদি যে তোমার কয়েকটি কথা রহিল তাহা পয়ে বলিব, আদ্য অধিক রাত্রি পদ্মাবতী। খুব ব্যানে লিখাপড়া শিখেছে। অামার বুদ্ধি শুদ্ধি ঘুরিয়ে দিলে—আমাকে নিয়ন্ত্রর করিলে। কথা গুলনতে ভাল বলিলে। কাল রাত্রে একটু সকালই বলতে আরম্ভ করিও ।