পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিবেদন Y S st হৌগ যে মূলগ্রন্থ ও ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহার সাহায্য লই নাই বলিলেই চলে । যেখানে সায়ণের ব্যাখ্যায় সংশয় বোধ হইয়াছে, সেখানে ইংরেজি অল্পবাদ খুলিয়াছি বটে ; কিন্তু সাধারণতঃ সায়ণের ব্যাখ্যায় সন্দেহ হইলেও সায়ণের অতুসরণই কৰ্ত্তব্য মনে করিয়াছি । সৌভাগ্যক্রমে সায়ণাচাৰ্য্য আমার মত অজ্ঞের জন্যই বেদের ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন । র্তাহার স্ব-স্পষ্ট ভাষার ও প্রাঞ্চল ব্যাখ্যার সাহায্য না পাইলে ঐতবেয় ব্রাহ্মণের এই অজুবাদ বাহির হইত না। বেদের কিয়দংশের নাম মন্ত্র ; অপরাংশের নাম ব্রাহ্মণ । মূখ্যতঃ যজ্ঞকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে মন্ত্রের প্রয়োগ । কোন না কোন দেবতার উদ্দেশে কোন না কোন দ্রব্য ত্যাগের নাম যজ্ঞ । যজমানের হিতার্থ যজমানকত্ত্বক র্যাহারা যজ্ঞে বৃত ও নিযুক্ত হইতেন, তাহাদের নাম ঋত্বিক। ঋত্বিকৃদিগকে বিবিধ কৰ্ম্ম মন্ত্রসহকারে সম্পাদন করিতে হইত। কেহ বা উচ্চস্বরে ঋকুমন্ত্র উচ্চারণ করিয়া দেবতার আহবান বা প্রশংসাদি করিতেন ; কেহ বা অনুচ্চস্বরে যজুর্মন্ত্র উচ্চারণ কবিয়া পুরোডাশাদি যঞ্জিয় দ্রব্য প্রস্তুত করিতেন বা দেবতার উদ্দেশে আহুতি দিতেন , কেহ বা সামমন্ত্র গান করিয়া দেবতার স্তুতি করিতেন। পষ্ঠে বা ছন্দে গ্রথিত মন্ত্রের নাম ঋক্ৰমন্ত্র, গদ্য-ময় মন্ত্রের নাম যজুর্মন্ত্র ; আর ষাহাতে স্থর বসাইয়া গান করা হইত, তাহ সামমন্ত্র। ভিন্ন ভিন্ন ব্রাহ্মণগ্রন্থে এই সকল মন্ত্র ব্যাখ্যাত হইয়াছে, কোন মন্ত্র কোন ঋত্বিক কত্ত্বক কোন কৰ্ম্মে কিরূপে বিনিযুক্ত হইবে, তাহ উপদিষ্ট হইয়াছে, কোন কারণে কোন মন্ত্র কোন নির্দিষ্ট কর্মের উপযোগী, তাহার হেতু প্রদর্শিত হইয়াছে, এবং প্রসঙ্গক্রমে নানা আখ্যায়িকাদি সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। হোতা ও র্তাহার সহকারী ঋত্বিকগণ মুখ্যতঃ ঋকমন্ত্রের বিনিয়োগ দ্বারা দেবতাহবানাদি কৰ্ম্ম করিতেন। অবযু ও র্তাহার সহকারীরা যজুর্মন্ত্র প্রয়োগ দ্বারা আহুতিদানাদি কৰ্ম্ম করিতেন ; উদগাতা ও র্তাহার সহকারীরা সামমন্ত্র গান করিতেন। অগ্নিষ্ট্রোমাদি যজ্ঞে এই তিন শ্রেণির ঋত্বিকের প্রয়োজন হইত। তাহারা একযোগে স্ব স্ব নির্দিষ্ট কৰ্ম্ম করিতেন । ঐতরেয় ব্রাহ্মণ গ্রন্থে প্রধানতঃ হোতা ও তাহার সহকারীদিগের অমৃষ্ঠেয় কৰ্ম্মের উপদেশ আছে। কাজেই এই ব্রাহ্মণগ্রন্থ ঋগ বেদানুসারী বলিয়। প্রসিদ্ধ ; অন্যান্য বেদের অনুযায়ী কৰ্ম্মের উল্লেখ এই ব্রাহ্মণে প্রসঙ্গতঃ মাত্র আছে । যজুর্বেী বা সামবেদী ঋত্বিকদিগের কর্মের সম্পূর্ণ উপদেশ না থাকায় যজ্ঞের একদেশমাত্র এই ব্রাহ্মণে বিবৃত হইয়াছে। সম্পূর্ণভাবে কোন যজ্ঞকে জানিতে হইলে অদ্যান্য ব্রাহ্মণের অধ্যয়ন অবিশু্যক । এই অনুবাদগ্রন্থ কতকটা বোধগম্য করিবার উদ্দেশে প্রচুর পরিমাণে টীকার সন্নিবেশ করিয়াছি। গ্রন্থের পরিশিষ্টে পারিভাষিক শব্দগুলির তাৎপৰ্য্য বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছি। টীকা ও পরিশিষ্ট প্রস্তুত করিবার জন্য অন্যান্য ব্রাহ্মণগ্রন্থ এবং সেই সেই ব্রাহ্মণগ্রন্থের অনুযায়ী সূত্রগ্রন্থের আশ্রয় লইতে হইয়াছে। প্রধানতঃ শতপথ ব্ৰাহ্মণগ্রন্থের এবং তদস্থায়ী কাত্যায়নীর শ্রেীতস্থত্রের অবলম্বনে এই পরিশিষ্ট প্রস্তুত করিয়াছি। বহু বৎসর হইল, বান্সিন নগর হইতে বিখ্যাত আচার্ষ্য বেবার কত্বক