পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামেঞ্জস্বন্দর রচনাসমগ্র و بلا لا শতপথ ব্রাহ্মণের এবং যাজ্ঞিকদেবাদিকৃত-ব্যাখ্যাসমন্বিত কাত্যায়নশ্রেীতস্থত্রের যে সংস্করণ প্রকাশিত হইয়াছিল, প্রধানতঃ তাহারই সাহায্য গ্রহণ করিয়াছি । বেদের শাখাভেদে ঋত্বিকদের অনুষ্ঠানে অল্পবিস্তর ভেদ থাকায় স্থলবিশেষে বৌধায়ন এবং আপস্তম্ব-প্রণীত শ্রেীতস্থত্রেরও সাহায্য লইতে হইয়াছে। কিন্তু যজ্ঞকৰ্ম্ম এমন জটিল ষে এই টীকা ও পরিশিষ্ট সত্ত্বেও কেবল এই গ্রন্থ পাঠে পাঠকেরা বৈদিক যাগযজ্ঞের তাৎপৰ্য্য ঝুঝিতে পারিবেন, তাহার সম্ভাবনা অল্প। এই গ্রন্থের ভূমিকায় প্রধান ষজ্ঞগুলির বিস্তৃত বিবরণ দিয়া মূলগ্রন্থকে স্পষ্ট করিবার ইচ্ছা ছিল। ভূমিকা লেখাও প্রায় শেষ হইয়াছে। কিন্তু সেই বৃহৎ ভূমিকা ছাপিয়া ফেলিতে শীঘ্র সমর্থ হইব, আশা করি না । জীবনের ভঙ্গুরতা স্মরণ করিয়া অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই গ্রন্থখানি প্রকাশ করিলাম। ভূমিক যাহা লিখিয়াছি, তাহ স্বতন্ত্র গ্রন্থাকারে প্রকাশের हेछछीं ज्ञश्लि । পণ্ডিত জয়চন্দ্র সিদ্ধান্তভূষণ প্রথম দুই অধ্যায় অনুবাদ করেন। সেই অংশের সমুদায় কৃতিত্ব র্তাহার। তিনি অনুবাদের সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রণ আরম্ভ করিয়াছিলেন । আমিও তাহার অনুসরণে সেইরূপই করিয়াছি। তজ্জন্য কতক দোষ ঘটিয়াছে । অনুবাদ সমাপ্ত করিয়া ছাপিতে দিলে বোধ হয় এই দোষগুলি ঘটিত না । বেদজ্ঞ পণ্ডিতগণ দয়া করিয়া ভ্রম প্রমাদ দেখাইয়া দিলে অনুগৃহীত হইব । এই অনুবাদের সংস্করণ যদি কখনও প্রকাশিত হয়, তাহাতে তদনুসারে বিশুদ্ধি সাধন করিব । অন্যান্য ব্রাহ্মণের মধ্যে শুক্লধর্জুৰ্ব্বেদীয় শতপথব্রাহ্মণের অনুবাদ আরম্ভ হইয়াছে এবং উহার প্রথম খণ্ড ইতঃপূর্বেই প্রকাশিত হইয়াছে। মুখের বিষয়, ঐ গ্রন্থের অনুবাদ যোগ্যতর পাত্রে অপিত হইয়াছে। পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত বিধুশেখর শাস্ত্রী শতপথব্রাহ্মণের অনুবাদ করিতেছেন এবং আশা করা যায়, তাহার অনুবাদ সাধারণে সাদরে গ্রহণ করিবেন। শ্ৰীমান কুমার শরৎকুমার রায় বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের একান্ত হিতার্থী বন্ধু ; সাহিত্য-পরিষদের সাহায্য জন্য র্তাহার ধনভাণ্ডার সর্বদা উন্মুক্ত আছে বলিলেই হয়। র্তাহারই ইচ্ছাক্রমে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ এই অনুবাদগ্রন্থগুলিকে সাহিত্যপরিষদ-গ্রন্থাবলীভুক্ত করিয়া প্রকাশ করিতেছেন। পরিষদের অন্যতম পরমামুগ্রাহক লালগোলার রাজা শ্ৰীযুক্ত যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় বাহাদুর—সাহিত্য-পরিষদের ইতিহাসে র্যাহার নাম অক্ষয় থাকিবে—তিনিও এই শাস্ত্র-প্রকাশকার্য্যে পরমোৎসাহে যোগ দিয়াছেন। উভয়ের প্রবর্তনায় পরিষৎ-প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর অন্তর্গত এই “ভারত-শাস্ত্ৰ-পিটক” স্বতন্ত্রভাবে স্থানলাভ করিয়াছে এবং ঐতরেয় ব্রাহ্মণের এই অনুবাদ উক্ত ভারত-শাস্ব-পিটক মধ্যে প্রথম সংখক গ্রন্থ বলিয়া গণ্য হইবে। কলিকাতা } শ্রীরামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী ১লা আশ্বিন, ১৩১৮