পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৯ রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র এই পয়স্যা দ্বারা সমৃদ্ধই হইল। কেন না, মিত্র ও বরুণ সেই মাদক দ্রব্যকে সেই দধি দ্বারা নির্দোষ করিয়াছিলেন । (১) “উপাস্মৈ গায়তা নরঃ” ইত্যাদি নয়টি মন্ত্রান্বিত নবম মগুলের একাদশ স্থজ সামগায়ী ঋত্বিকৃগণ গান করেন। যাহা গান করা যায়, তাহার নাম স্তোত্র। ঐ স্থজটি যখন গীত হয়, তখন তাহার নাম বহিষ্পবমান স্তোত্র। প্রস্তোতা, উদগতি ও প্রতিহত্ত্ব, এই তিন জন সামগায়ী ঋত্বিকে উহা গান করেন। গানের পূর্বে সামগায়ীরা বহিষ্পবমানের উদ্দেশে চরু ভক্ষণ করেন। হোতা ইহা ভক্ষণ করেন না। সেই বহিষ্পবমান চরুকেই দেবগণের ও মনুষ্যগণের ভক্ষ্য বলা হইল। (২) হোতার কর্তব্য ঋকৃপাঠ, উদগীতার কর্তব্য সামগান। ঋক্ মন্ত্রেরই গান করিলে তাহ সাম হয়। এজন্য সাম ঋকের পশ্চাদগামী। যে পশ্চাদগামী, সে নিকৃষ্ট, যে পুরোগামী, সে উৎকৃষ্ট । পঞ্চম খণ্ড—সবনীয় পুরোডাশবিধান সবন কৰ্ম্মে পুরোডাশবিধান—"cদবানাং বৈ...অখ্রিয়ুস্ত” দেবগণ সবনসমূহ১ ধরিয়া রাখিতে পারেন নাই। তাহারা এই [পশ্চাদ্ভূক্ত পাচটি] পুরোডাশকে দেখিয়াছিলেন এবং সবনসমূহকে ধরিবার জন্য প্রত্যেক সবনে [ আহুতিরূপে ] ঐ পুরোডাশ সকল নিৰ্ব্বপণ করিয়াছিলেন। তখন সেই সবনসমূহ তাহদের জন্য ধৃত হইল। সেই সবনসমূহ ধরিবার জন্য প্রত্যেক সবনে যে পুরোভাশ নিৰ্ব্বপণ হয়, তাহাতেই সবনসমূহ দেবগণের উদ্দেশে ধৃত হইয়া থাকে। পুরোডাশ শব্দের ব্যুৎপত্তি—“পুরো বা.পুরোডাশতম্” এই যে সকল পুরোভাশ, ইহাদিগকে দেবগণ [ সোমাহুতির ] পুরোবত্তা করিয়াছিলেন, ইহাই পুরোডাশের পুরোডাশত্ব ॥২ পুরোভাশদানের নিয়ম—“তদাহঃ...নিৰ্ব্বপেৎ” এ বিষয়ে [ ব্রহ্মবাদীরা ] বলেন—প্রাতঃসবনে আtটখানি কপালে, মাধ্যদিনসবনে এগারখানি কপালে ও তৃতীয়সবনে বারখানি কপালে—এইরূপে প্রতি সবনে পুরোডাশ আহুতি দিবে ; কেন না, সবনগুলিরও ঐ রূপ , কেন না, [ সবনে বিহিত মস্ত্রের ] ছন্দসকলও ঐরূপে ( ঐ সংখ্যাক্রমে ) বিহিত হয়। কিন্তু [ ব্রহ্মবাদীদের ] ঐ মত আদরণীয় নহে।. [ কেন না ] প্রতি সবনে যে পুরোডাশসমূহ, ইহারা সকলেই ইন্দ্রের উদেশে আহত হয়। সেই জন্য [ তিন সবনেই ] পুরোডাশসমূহ এগারখানি কপালেই অস্থিতি দিবে ॥৪