পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিক। tী এক ৷ “রামেন্দ্রস্থদের রচনাসমগ্র’র প্রথম খণ্ডে আচার্য ত্রিবেদীর ‘স্বদেশ’, ‘শিক্ষা’, ‘ভাষা ও সাহিত্য’ এবং ‘সমাজ ও সংস্কৃতি-বিষয়ক রচনাসমূহ স্থান পেয়েছে। এই খণ্ডে বেদপন্থী রামেন্দ্রমুন্দরের আংশিক পরিচয় উপস্থাপিত। আংশিক এই কারণে যে, “যজ্ঞ-কথা’ এবং ঐতরেয় ব্রাহ্মণ’-এর অনুবাদ ছাড়াও রামেন্দ্রম্বন্দরের বেদ-ব্ৰাহ্মণ-বিষয়ক আরও কিছু রচনার সন্ধান পাওয়া যায়। মূলতঃ দ্বিতীয় খণ্ডের কলেবর-বৃদ্ধির আশঙ্কাতেই এই পর্যায়ের সমস্ত রচনা একখণ্ডে সন্নিবিষ্ট করা গেল না। প্রথমে যজ্ঞ-কথা ও পরে ঐতরেয় ব্রাহ্মণকে এই খণ্ডে অন্তভুক্তি করার কারণ, প্রথমোক্ত গ্রন্থটি হল দ্বিতীয় গ্রন্থটির ভূমিকা। অতএব, যজ্ঞ-কথা পড়ে নিয়ে পরে ঐতরেয় ব্রাহ্মণ পড়লে স্বধী পাঠকরা উপকৃত হবেন । ॥ দুই ॥ সাহিত্যসাধক রামেন্দ্রসুন্দর বিজ্ঞান-ভিক্ষুই শুধু নন, বেদপন্থীও বটেন । বিজ্ঞানের বেলায় যেমন, বেদ-এর বেলায়ও তেমন সত্য-সুন্দর ও কল্যাণত্রতের ভাষ্য রচনা করেছেন তিনি । বিজ্ঞানবিদ্যার ক্ষমতা সম্বন্ধে রামেন্দ্রসুন্দরের মনে বরাবরই সংশয় ছিল । তবে সাহিত্যসাধনার প্রথম পর্বে এ সংশয়কে বারবার কাটাবার চেষ্টা করেছেন তিনি। ‘নবজীবন’ পত্রিকায় রামেন্দ্রসুন্দরের প্রাথমিক রচনা ‘মহাশক্তি’ (অগ্রহায়ণ ১২৯১ ) ; “বিবর্তন’ ( শ্রাবণ ১২৯২ ) ; ‘মহাতরঙ্গ’ ( অগ্রহায়ণ ১২৯২ ) ও ‘জড়জগতের বিকাশ’ ( আষাঢ় ১২৯৩) নিয়ে আলোচনা করলে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়। বেদ-অধ্যয়ন ও শাস্ত্র-চর্চার প্রতি রামেন্দ্রসুন্দরের স্থগভীর শ্রদ্ধা ছিল । বেদ-বিদ্যার সঙ্গে পরিচিতি তিনি ভারতীয়দের পবিত্র কর্তব্য বলে মনে করতেন । ‘যজ্ঞ-কথায়” র্তার (১৯২০ ) প্রগাঢ় শাস্ত্রজ্ঞানের পরিচয় সুস্পষ্ট। বেদপন্থীর ক্রিয়াকর্ম ও যাঞ্জিক অনুষ্ঠান সম্বন্ধে রামেন্দ্রসুন্দরের সবচেয়ে পরিণত চিস্তার পরিচায়ক এই গ্রন্থটি । বৈদিক যজ্ঞের স্বরূপ বিশ্লেষণে ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনায় রামেন্দ্রম্বন্দর এখানে অসাধারণ নিষ্ঠ ও অনন্য পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। গ্রন্থটি লেখকের মৃত্যুর পর ১৩৩৭ সালে প্রকাশিত হয় । ‘যজ্ঞ-কথার প্রবন্ধগুলো প্রথমে লেখা হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্তার দেবপ্রসাদ সর্বাধিকারীর অনুরোধে। পরে সব নট প্রবন্ধই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হয়। তবে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবার পূর্বে ‘যজ্ঞ-কথার প্রবন্ধগুলো ১৩২৪ থেকে ১৩২৫ সালের ‘সাহিত্য’ পত্রিকায় বেরিয়েছিল । এই গ্রন্থে মোট পাচটি প্রবন্ধের মাধ্যমে যজ্ঞানুষ্ঠান সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রবন্ধ পাচটি হ’ল :-যজ্ঞ – অগ্নিধ্যান ও অগ্নিহোত্র, ইষ্ট্যিাগ ও পশুযাগ, সোমবাগ, খ্ৰীস্ট্যাগ এবং পুরুষষজ্ঞ । 象 প্রথমোক্ত প্রবন্ধের প্রারম্ভে বেদপন্থী সমাজের স্বরূপ বিশ্লেষণ করেছেন রামেন্দ্রস্বন্দর এবং এই সমাজে যজ্ঞের উপযোগিতা ব্যাখ্যা করেছেন। চলিত অর্থে যে সমাজকে আমরা হিন্দু-সমাজ বলি, রামেজন্বন্দর তাকেই বলেছেন, বেদ-পন্থী সমাজ । এই