পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পঞ্চিক ষোড়শ অধ্যায় প্রথম খণ্ড—ষোড়শী ক্রতু জ্যোতিষ্টোমভেদ উকৃথ্য ক্রতুর বিষয় বলা হইল, এক্ষণে ষোড়শী ক্রতুর বিষয় বলা হইবে। তদ্বিষয়ে বিশেষ বিধি ষোড়শী শস্ত্রে পাঠ, যথা—“দেব। বৈ........ এবং বেদ” । দেবগণ পুরাকালে প্রথম দিনে [ সোমপ্রয়োগ দ্বারা ] ইন্দ্রের জন্য বজ্র প্রস্তুত করিয়াছিলেন, দ্বিতীয় দিনে সেই বজ্রকে অভিষিক্ত করিয়াছিলেন, তৃতীয় দিনে [ ইন্দ্রকে ] বন্দ্র প্রদান করিয়াছিলেন ; চতুর্থ দিনে ইন্দ্র তাহা [ শক্র প্রতি ] নিক্ষেপ করিয়াছিলেন। সেই জন্য চতুর্থ দিবসে ষোড়শী শস্থ পাঠ করা হয়। এই যে ষোড়শী শস্ত্র, ইহা বজস্বরূপ। চতুর্থ দিবসে যে ষোড়শীর পাঠ হয়, ইহাতে দ্বেষকারী শক্রর প্রতি বজ্র নিক্ষেপ করা হয় । যে ব্যক্তি [ এই যজমানের ] হস্তব্য, ইহাতে তাহার হত্য ঘটে। যোড়শী বজ্রস্বরূপ, আর উকৃথসকল পশুস্বরূপ ; সেই জন্য উকৃপসকলের উপরে স্থাপন করিয়া ষোড়শী পঠিত হয় ।২ উকৃগসকলের উপরে স্থাপন করিয়া ষোড়শী পাঠ করা হয়, তাহাতে বঞ্জস্বরূপ ষোড়শী দ্বারা পশুগণকে নিয়মিত করা হয়। সেই হেতু পশুগণ ও বজ্রস্বরূপ ষোড়শী স্বারাই নিয়মিত হইয়া মহন্ত গণের নিকট উপস্থিত হয়। সেই হেতু অশ্ব মহন্ত গরু বা হস্তী নিয়মিত হইলে আপন হইতে বাক্যদ্বারা আহবান মাত্রেই নিকটে আসিয়৷ উপস্থিত হয়। বজ্ররূপ ষোড়শী দেখিলেই তাহার। ষোড়শী দ্বারা নিয়মিত হয় ; কেন না, বাক্যই বজ্র ও বাক্যই ষোড়শী। এ বিষয়ে ব্রহ্মবাদীরা প্রশ্ন করেন, ষোড়শীর ষোড়শিত্ব কি ? [ উত্তর ] ইহা স্তোত্রসমূহের মধ্যে ষোড়শ, শস্ত্র সমূহের মধ্যে যোড়শ, ষোল অক্ষরে (অতুষ্টুভের পূৰ্ব্বাদ্ধে ) ইহার আরম্ভ হয়, ষোল অক্ষরের ( অল্পই ভর উত্তরাষ্ট্ৰপাঠের ) পর প্রণব উচ্চারিত হয়, ইহাতে ষোড়শপদযুক্ত নিবিৎ স্থাপিত হয়, ইহাই ষোড়শীয় ষোড়শিত্ব।৩ ষোড়শী অনুষ্টুপ, ছন্দ প্রাপ্ত হইলেও উহাতে দুইটি অক্ষর অতিরিক্ত থাকে। বাগদেবতার দুইটি স্তন ; সত্য ও অমৃত ঐ দুইটি স্তন। যে তাহ জানে, সত্য তাহাকে রক্ষ করে ও অনূ ত তাহাকে হিংসা করে না । 動 بنا (১) “অসাবি সোম ইন্দ্র তে” (১৮৪১ ) ইত্যাদি মন্ত্র ষোড়শী শস্ত্রে পঠিত হয়। ছয়দিনব্যাপী হইলে চতুর্থ দিবসে সোমপ্রয়োগে ষোড়শী শস্ত্র পঠিতব্য। (২) উকৃথ্যক্রতুতে 38