পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যজ্ঞ-কথা : সোমষাগ 8☾ জন্য যুপের স্থান, এবং ভিতরে চাত্বাল, উৎকর ও শামিত্রভূমি পশুযাগেরই অনুরূপ। ইষ্টিযাগে চারি জন, পশুযাগে ছয় জন, কিন্তু সোমযাগে ষোল জন ঋত্বিকের দরকার হয়। সকলের নাম জানার দরকার নাই। জন কয়েকের নাম জানা আবশ্যক। অধ্বযু্য, হোতা, ব্রহ্মা এবং অগ্নীৎ ত আছেনই ; তাহার উপরে অধ্বষু র সহকারী প্রতিপ্রস্থাত এবং হোতার সহকারী মৈত্রাবরুণ, ইহারাও আছেন। হোতার আর দুই জন সহকারীর নাম ব্রাহ্মণাচ্ছংসী ও আচ্ছাবাক্ । নাম দুটি কষ্ট করিয়াও মনে রাখিবেন । ইষ্টিযাগে ও পশুযাগে সামগান নাই ; সোমযাগে সামগান নহিলে চলে না। সেই জন্য উদগাতা এবং তাহার সহকারী প্রস্তোতা ও প্রতিহর্তা, এই তিন জন সামগায়ী ঋত্বিকের প্রয়োজন হয়। এই এগার জন ছাড়া আরও পাচ জনের দরকার। এইরূপে সৰ্ব্বসমেত ষোল জন ঋত্বিক আবশ্যক হয়। ষোল জন ঋত্বিক ছাড়া চমসাহুতির জন্য দশ জন চমসাধ্বযু্যর প্রয়োজন। ইহার ঋত্বিক নহেন, তবে সোমযাগে সহকারিত করেন। যাগের পূৰ্ব্বে সোমপ্রবাক নামক ব্যক্তি ষোল জন ঋত্বিককে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনেন এবং যজমান তাহাদিগকে বরণ করেন । দেবগণের যজ্ঞে অগ্নি হোতা, আদিত্য অধ্বযু , চন্দ্রমা ব্ৰহ্মা, পর্জন্য উদগাতা এবং অপসমূহ অন্যান্য ঋত্বিকৃ হইয়াছিলেন। যজমান প্রথমে দেবঋত্বিকৃদিগকে বরণ করিয়া তাহাদের প্রতিনিধিস্বরূপে মানুষঋত্বিকদের বরণ করেন। আপনাদিগকে বলিয়াছি, অগ্নিষ্টোম এক দিনের যজ্ঞ। কিন্তু তাহার পূৰ্ব্বে কতকগুলি ইষ্ট্যাগ এবং অন্যান্য কৰ্ম্ম না করিলে সোমযজ্ঞে অধিকারই জন্মে না। ফলে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞ এক দিনের যজ্ঞ হইলেও উদ্যোগ আয়োজন করিয়া যজ্ঞ সমাধা করিতে পাচ দিন সময় লাগে । যথাক্রমে বিবরণ দিতেছি । প্রথম দিন।—প্রথম দিনে যজমান দীক্ষিত হন । ইষ্টিযাগে বা পশুযাগে দীক্ষার প্রয়োজন নাই। এই দীক্ষা এবং দীক্ষার অমুকুল ইষ্ট্যাগ প্রথম দিনের প্রধান অনুষ্ঠান। আগেই বলিয়াছি, ইষ্টযাগের জন্য ঐষ্টিক বেদি এবং সোমযাগের জন্য মহাবেদি আবশ্বক। যজমানের বাড়ীতে পূর্ণমাসাদি যাগের জন্য অগ্নিশালা থাকে। কিন্তু এখানে গ্রামের বাহিরে নুতন যজ্ঞশালায় নুতন ঐষ্টিক বেদি গড়িয়া লইতে হয়। যজমানের বাড়ীতে যে গার্হপত্য সারা দিন জলে, সেই আগুনে দুইখানা অরণি তপ্ত করিয়া আনা হয়। ইহার নাম অগ্নিসমারোপণ । সেই অরণি ঘর্ষণে নুতন যজ্ঞশালায় নুতন গার্হপত্য জালা হয়। যজমানের বাড়ীর গার্হপত্য এবং এই নূতন গার্হপত্য যে একই অগ্নি, তাহা এতদ্বারা বুঝান হইল। এই নূতন গার্হপত্য হইতে নুতন আবহনীয় ও নূতন দক্ষিণাগ্নি যথাবিধি জালান হয়। সোমযাগের আয়ুষঙ্গিক সমস্ত ইষ্টিযাগ এই অগ্নিতেই সম্পাদ্য। এইরূপ অগ্নি স্থাপনের পর যজমানের দীক্ষা গ্রহণ যজ্ঞশালার বাহিরে বসিয়া সপত্নীক যজমান ক্ষৌরকার্য্যান্তে স্নান করিবেন। স্বানাস্তে কাপড় ছাড়িয়া কুশের উপর দাড়াইয়া নবনী মাখিবেন, চোখে কাজল পরিবেন, কুশের দ্বারা গা মাজিয়া দেহশুদ্ধি করিবেন, আঙ্গুল গুটাইয়া মুষ্টিবদ্ধ করিয়া যজ্ঞশালায় প্রবেশ করিবেন ; যজ্ঞাস্ত পৰ্য্যন্ত বাহিরে আসিবেন না। সেইখানে একটি ইষ্টষাগ করিতে হইবে । ਪੜੋ" ইটুম্বাগের নাম দীক্ষণীয় ইষ্ট । দীক্ষার অমুকুল