পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ e রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র জাতির দেবতত্ত্ব ও ধৰ্ম্মতত্ত্ব অবলম্বন করিয়া মক্ষমূলর বিস্তীর্ণতর ক্ষেত্রে সমগ্র মানবজাতির ধৰ্ম্মতত্ত্বের ইতিবৃত্ত নির্ণয়ে প্রয়াস করিয়াছিলেন। তিনি স্বয়ং ভাষাতত্ত্বজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন, এবং বিজ্ঞানের অন্য যে-কোন শাখার আলোচনাতেই তিনি হাত দিতেন, তিনি তাহাতে ভাষাতত্ত্বের সম্পূণ সাহায্য লইতে পরাজুখি হইতেন না। রঙিন চশমা চোখে দিলে যেমন জগৎমৃদ্ধই রঙিন দেথায়, তিনি সেইরূপ ভাষাবিজ্ঞানের রঙিন পদার গন্তরাল হস্ততে জগতের দিকে চাহিতেন। কাজেই অন্যান্য বিজ্ঞানে তাহার সিদ্ধা সৰ্ব্ববাদিসম্মত হয় নাই ; তাহার প্রণীত ধৰ্ম্মতত্ত্বও পাশ্চাত্য পণ্ডিতসমাজে নিবিববাদে গৃহীত হয় নাই । ইংরাজগণের মধ্যে হাবার্ট স্পেন্সার, এড ওয়ার্ড টাইলর, এগুটে ল্যা" প্রভৃতি পণ্ডিতগণ অন্যবিধ ধৰ্ম্মতত্ত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্ট করিয়াছেন । এই সকল পণ্ডিতদিগের বিরোধী মতের সহিত মক্ষমূলরের মতের বিসংবাদ প্রায়ই ঘটিত । ধৰ্ম্ম তত্ত্বের ভবিষ্ণুং কি, তাহ বলিতে পারি না, কিন্তু মক্ষমলবেক প্রতি ভ। কিরূপ সৰ্ব্বতোমুখিনা ছিল তাহা দেখাইবাক পক্ষে ইহা একটা দৃষ্ঠাস্ত স্বরূপ গুহাত হঠতে পারে। so মঙ্গুষ্যের ভাষার সহিত মরুষের চিন্তাপ্রণালীর অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ ;– আমাদের চিন্ত৷ ক্রিয়াটাই ভাষাসাপেক্ষ বটে কি না, তাহা লষ্টয়া বিতণ্ডা চলিতে পারে। অন্তত: ভাষার সাহায্য না পাঙ্গলে মন্তম্ভোর চিস্ত। প্রণালী কিরূপ হইত, তাহা গভীর আলোচনার বিষয় বটে। মক্ষমলর মনোবিজ্ঞানের এই দুরূহ সমস্তায় হস্তক্ষেপ কবিয়াছিলেন। র্তাহার সিদ্ধান্ত মনোবিজ্ঞানবিং পণ্ডিতগণের নিকট কিরূপ সমাদর লাভ করিয়াছে বা কবিবে, তাহ পর্তমান প্রসঙ্গে উপস্থিত করিবার কোন প্রয়োজন দেখি না। ধাহাই হউক, ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিতগণের মধ্যে - ব বিস্তৃত বৈজ্ঞানিক সমাজে মক্ষমূলরেব স্থান অতি উচ্চে ছিল,—কত উচ্চে ছিল, তাতার নিৰ্দ্ধাবণে সম্প্রতি প্রয়োজন নাই, এব" সম্ভবতঃ সম্প্রতি তাঙ্গার নৰ্দ্ধারণের সময়ও উপস্থিত হয় নাই । সংস্কৃত ভাষার ইতিহাস প্রণয়নে তাহার কৃতিত্বও ভবিষ্যৎ সমালোচনার বিষয় । প্রাচ্যবিদ্যায় মক্ষমূলরেব পাণ্ডিত্য অতি উচ্চশ্রেণীর ছিল, সে বিষয়ে কাহারও স“শয় নাই । কিন্তু প্রাচ্যবিদ্যাবিং পণ্ডিতগণেব মধ্যে র্তাহার একটু বৈশিষ্ট্য ছিল, যাহা অন্যান্য পণ্ডিতের নাই, এব" যাহার গুণে তিনি ভারতবাসীর আন্তরিক কতজ্ঞতা ও ভক্তি পাইবার অধিকারী ছিলেন । এই বৈশিষ্ট্য ভারতবর্ষের প্রতি ও ভারতবাসীর প্রতি তাহার একান্ত অনুরাগ । তিনি ভারতবর্মকে ও ভা ভবাসীকে মনেব সহিত ভালবাসিতেন ; বলা বাহুল্য যে, পণ্ডিল মাত্ৰেই--প্রোচ্যবিদ্যাবিং পাশ্চাত্য পণ্ডিত মাত্রেই সেরূপ ভালবাসেন না। ভারতবাসীর প্রতি এই আস্তরিক অতুরাগ তাহার নান। কার্থ্যে প্রকাশ পাইত । ভারতবর্ষের সাহিত্য লইয়া, ভারতবর্ষের ইতিহাস লইয়া অনেক বড় বড় পণ্ডিত মাথা ঘামাইয়াছেন ও উৎকট পবিত্ৰম কবিয়াছেন। কিন্তু what India can teach us, ভারতবর্ষ ইউরোপকে কি শিক্ষা দিতে পারে, এই বিষয়ের আলোচনায় অন্য কাহারও লেখনী এত ব্যাকুল হয় নাই। অধম ভারতবাসীর জীবনচরিত লিখিয়া সময় ব্যয় করা বোধ হয়, তৎশ্রেণীস্থ আর কোন পণ্ডিত কৰ্ত্তব্য কর্মের মধ্যে গণ্য