आछिनन्झन ՋԵՎ» দুঃখের ভাগী ছিলেন, তাহাদের সমবেত চেষ্টায় বঙ্গের সারস্বত ভবন, বঙ্গের সারস্বত ভাণ্ডার, বঙ্গের জাতীয় চিত্রশালা, যেখানে প্রাচীন বঙ্গ আপনাকে উদঘাটিত করিবে, যেখানে বর্তমান বঙ্গ নিরীক্ষিত ও আলোচিত হইবে, যেখানে ভবিষ্যৎ বঙ্গ আশার ও আকাজক্ষার চিত্রে চিত্রিত হইবে, বঙ্গের ভারতী যেখানে পূজা পাইবেন, বঙ্গের লক্ষ্মী ষেখানে আপন ঐশ্বৰ্য্য প্রকটিত করিবেন, সেই সরস্বতী ভবন—সেই রমীভবন, এই রমেশভবন প্রতিষ্ঠার জন্য আপনাদিগকে প্রার্থনা করিতেছি। অট্টালিকানিৰ্ম্মাণ আমাদের অসাধ্য হয়, এখন কুটিরনিৰ্ম্মাণেই আমরা তৃপ্ত হইব । বঙ্গের সরস্বতী কুটারমধ্যেই চিরকাল অর্চনা পাইয়াছেন ; বঙ্গলক্ষ্মী কুটারসঞ্চিত শস্যসম্ভারের অভ্যন্তরেই বিরাজ করিতেছেন ; বঙ্গসন্তান রমেশচন্দ্রের স্মৃতিরক্ষার জন্য কুটীর কল্পনাও অযুক্ত হইবে না। ( 'সাহিত্য, চৈত্র ১৩১৬ ) অভিনন্দন বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনের নবাভু্যদয়ে নূতন প্রভাতের অরুণকিরণপাতে যখন নব শতদল বিকশিত হইল, ভারতের সনাতনী বাগ দেবতা তত্বপরি চরণ অর্পণ করিয়া দিগন্তে দৃষ্টিপাত করিলেন । অমনি দিগধূগণ প্রসন্ন হইলেন, মরুদগণ মুখে প্রবাহিত হইলেন, বিশ্বদেবগণ অন্তরাক্ষে প্রসাদপুষ্প বর্ষণ করিলেন, উৰ্দ্ধব্যোমে রুদ্রদেবের অভয়ধ্বনি ঘোষিত হইল, নবপ্রবুদ্ধ সপ্তকোটি নরনারীর হৃদয়মধ্যে ভাবধারা চঞ্চল হইল। বঙ্গের কবিগণ অপূৰ্ব্ব স্বরলহরীর যোজনা করিয়া দেবীর বন্দনাগানে প্রবৃত্ত হইলেন ; মনীষিগণ স্বহস্তাবচিত কুসুমোপহার তাহার শচরণে অর্পণ করিয়া কৃতাৰ্থ হইলেন । কবিবর! পঞ্চাশতবর্ষ পূৰ্ব্বে এক শুভদিনে তুমি যখন বঙ্গজননীর অঙ্কশোভা বৰ্দ্ধন করিয়া বাঙ্গালার মাটি ও বাঙ্গালার জলের সহিত নূতন পরিচয় স্থাপন করিলে, বঙ্গের নব জীবনের হিল্লোল আসিয়া তখন তোমার অৰ্দ্ধস্ফুট চেতনাকে তরঙ্গায়িত করিয়াছিল ; সেই তরঙ্গাভিঘাতে তোমার তরুণ জীবন স্পনিত হইল ; সেই স্পন্দন-প্রেরণায় তোমার কিশোর হস্ত নব নব কুসুমসস্তার চয়ন করিয়৷ বাণীর অৰ্চনায় প্রবৃত্ত হইল। তোমার পূর্বগামিগণের স্নিগ্ধ নেএ তোমাকে বপিত করিল, অমুগামিগণের মুগ্ধ নেত্র তোমাকে পুরস্কৃত করিল ; বাগ দেবতার ন্মেরাননের শুভ্ৰ জ্যোতি তোমার ললাটদেশে প্রতিফলিত হইল । তদবধি বাণীমন্দিরের মণিমণ্ডিত নানা প্রকোষ্ঠে তুমি বিচরণ করিয়াছ, রত্নবেদির পুরোভাগ হইতে নৈবেদ্যকণ আহরণ করিয়া তোমার দেশবাসী ভ্রাতাভগিনীকে মুক্তহস্তে বিতরণ করিয়াছ ; তোমার ভ্রাতা-ভগিনী দেবপ্রসাদের আনন্দস্বধা পান করিয়া ধন্য হইয়াছে। বীণাপাণির অঙ্গুলিপ্রেরণে বিশ্বযন্ত্রের তন্ত্ৰীসমূহে অণুক্ষণ যে ঝঙ্কার উঠিতেছে, ভারতের পুণ্যক্ষেত্রে তোমার অগ্রজাত কবিগণের পশ্চাতে আসিয়াও তুমি তাহ কর্ণগত করিয়াছ ; স্থপর্ণরূপিণী গায়ত্রীকত্ত্বক গন্ধৰ্ব্বরক্ষিত অমৃতরসের দেবলোকে নয়নকালে মর্ত্যোপরি যে ধারাবর্ষণ হইয়াছিল, পৃথিবীর ধূলিরাশি হইতে নিষ্কাশিত করিয়া নরলোকে সেই অমৃতকণিকার বিতরণে তোমার সহকারিতা
পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।