পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিভাষণ ર૪, ૧ বঙ্গের কৃষক পৰ্য্যন্ত সকলেই উপকৃত হইবেন । বাঙ্গালা দেশের বাতাবৰ্ত্ত বা cyclone of futi ol materiologyrs ol मूञ्जन পরিচ্ছেদ ধোজনা করিয়াছে। এই বিশিষ্ট আলোচনাতেও আরও কি কোন নূতন পরিচ্ছেদের যোজনা হইবে না ? বঙ্গের সমতলভূমিতে একখানা কঠিন পাষাণ পাওয়া যায় না। ষে অতি পুরাতন মালভূমির ক্ষুদ্র অংশ আজ পর্য্যন্ত সমূত্রের জলসীমার উদ্ধে থাকিয়া ভারতোপদ্বীপের দাক্ষিণাত্য অংশ গঠন করিয়াছে, গঙ্গাপ্রবাহ যাহার উত্তর ও পূর্ব সীমায় প্রবহমান, সেই মালভূমিতে না কি একখানা পুরাতন জীবাশ্ম বা fossil পাওয়া যায় না, এই সকল কারণে এদেশের সমতলভূমি এ পর্য্যস্ত ভূবিদ্যাবিদের শ্রদ্ধা আকর্ষণে সমর্থ হয় নাই। কিন্তু তথাপি গঙ্গাপ্রবাহে নিক্ষিপ্ত মৃত্তিকারাশি কতকালে কিরূপে আমাদের বঙ্গভূমিকে নিৰ্ম্মিত করিয়াছে, এ বিষয়ের আলোচনা সমাপ্ত হইয়াছে কি ? আমাদের মধ্যে র্যাহারা ইতিহাস লেখেন বা কাব্য লেখেন, তাহার কথায় কথায় বলিয়া থাকেন, এই নিম্নবঙ্গ যেন সেই সেদিন সমূদ্রগর্ভে মগ্ন ছিল ; কিন্তু এই কলিকতা সহরের বহু নিম্নের ভূমি, যাহা তখন সাগরবক্ষের বহু নিম্নে অবস্থিত ছিল, এই তথ্যটা র্তাহাদিগের জানা আবশ্যক নহে কি ? ভাগীরথীর পশ্চিমে বীরভূমে যে অমুর্বর রাঙ্গামাটির অস্তিত্ব দেখিতে পাই, উত্তরবঙ্গে ও ময়মনসিংহের জঙ্গলে যে রাঙ্গামাটি পুনরায় মাথা তুলিয়াছে, সেই রাঙ্গামাটির সহিত তদুপরি নিক্ষিপ্ত গঙ্গামূত্তিকা নিৰ্ম্মিত নিম্নবঙ্গের সম্পর্কের কথা নি:সংশয়ে নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে কি ? র্যাহারা ভূতত্ত্বে অভিজ্ঞ, তাহাদের নিকট এই সকলের এবং এই শ্রেণীর বিবিধ তত্ত্বের সমাধান পথের পথিক প্রত্যাশ করে। বাঙ্গালার মাটিতে এবং বাঙ্গালার জলে, বাঙ্গালার গ্রামে ও বাঙ্গালার বনে, যে সকল পশুপার্থী সাপব্যাঙ মশামাছি পোকা আহার বিহার করিতেছে, তাহাদের বিশিষ্ট বিবরণের জন্য, তাহাদের আহার বিহারের প্রথা জানিবার জন্য, আমরা কি কেবল বিদেশী শিকারীর মুখাপেক্ষা করিয়াই থাকিব ? Asiatic Societyর *iform to Indian Museum of offo monography offs উৎকট বৈজ্ঞানিক ভাষার আশ্রয় ভিন্ন আমাদের মত অনভিজ্ঞের পক্ষে স্বদেশের তত্ত্ব জানিবার কোন গত্যন্তর থাকিবে না ? বাঙ্গালা দেশের জীবজন্তু আপন আপন অবস্থানে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকিয়া কিরূপে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করে, কিরূপে পরস্পরকে জীবন-স্বন্দ্বে হঠাইতে চাহে, কিরূপে বেড়ায় এবং কি খায়, কিরূপে আততায়ীর প্রতি অস্ত্রসস্ত্র প্রয়োগ করে, কিরূপে আকারে এবং আচারে অন্ত জীবের, এমন কি আততায়ীর, অনুকরণ করিয়া নানা ছদ্মবেশের আবিষ্কার করিয়া আততায়ীকে ঠকাইয়া আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে, কিরূপে তাহার সহস্ৰ শত্রুর সন্নিধানে আপন বংশধারা রক্ষা করিবার নানা কৌশল উদ্ভাবন করে, এই সকল তথ্য জানিবার জন্য আমরা উৎকর্ণ হইয়া রহিয়াছি, আমাদের আকাঙ্ক্ষা কি মিটিবে না ? বাঙ্গালার জলে, বাঙ্গালার বায়ুমধ্যে, আমাদের প্রত্যেকের গৃহকোণে, শয্যাতলে, খাদ্যের ভিতর, দেহের ভিতর, যে সকল জীবাণু অলক্ষিতে বাস করিয়া রক্তবীজের মত বদ্ধিত হইতেছে, এবং কখনও বা আমাদের দেহরক্ষায় সৈনিকের কার্য্য করিতেছে, কখনও বা মহামারী উৎপাদন