পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 S > রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র হয়, সে আমাদের অদৃষ্ঠেরই দোষ । অভাগ যদ্যপি চায়, সাগর শুকায়ে যায় ; আমর অভাগ, আমাদের অদৃষ্টগুণে মহাসাগরের জলটুকু সমস্ত শুকাইয়া গিয়া কেবল স্তনটুকু মাত্র তৃষ্ণানিবাবণের জন্য অবশিষ্ট থাকিবে, তাহাতে বিস্ময়ের কারণ কিছুই নাই । এখন ইউনিভাসিটা কমিশনের উপদেশমধ্যে তুষ্ট চারিটির সংক্ষেপে উল্লেখ করা যাউক । ইউনিভাসিট কমিশন একবারে গোড়ায় হাত দিয়া সেনেট সভাব সংস্করণে উপদেশ দিয়াছেন ; বৰ্ত্তমানে সেনেটের যে সকল সভ্য আছেন, তাহাদের অনেকেই কেবল সেনেটের অলঙ্কার মাত্র ; কমিশন বলিতেছেন, তাহারা অলঙ্কারস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভাবৰ্দ্ধন করুন , শিক্ষানীতিতে তাহাদের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নাই । বৰ্ত্তমান সদস্যগণের মধ্যে এক শত জনকে লইয়া নুতন সেনেট গঠিত হউক ; অন্যান্য সদস্যেরা কনভোকেশনের দিন academic costume পরিয়া সভার শোভাবৰ্দ্ধন করুন , দুষ্ট লোকে বলিতেছে, সভার শোভাবৰ্দ্ধনের জন্য সেই সকল সদস্যগণকে টানিয়া আনার প্রয়োজন কি ? গবয় হাউসের অধিবাসীদিগকে ধরিয়া আনিয়া চেয়ারের উপর বসাইয়া দিলে বোধ করি সভার শোভা আর ও উজ্জল হইত ; এল তাহীদের অঙ্গসৌষ্ঠব বৰ্দ্ধনের জন্য রঙ্গিল গাউনের ও দরকার হইত না । এক শত জন সদস্য লইয়। যে নুতন সেনেটসভা গঠিত হইবে, তাহার হস্ত হইতে প্রায় সমস্ত প্রধান ক্ষমতা গ্রহণ করিয়! নূতন সিণ্ডিকেটে অর্পণ করিলার জন্য কমিশন উপদেশ দিয়াছেন। নূতন সিণ্ডিকেটের গঠনপ্রণালী যেরূপ হইবে ও সিণ্ডিকেটের হস্তে যে ৰূপ প্রভূশক্তি অর্পণ করা হইতেছে, তাহাতে সকলে আশঙ্কা করিতেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটা গবর্মেন্টের ডিপার্টমেটে পরিণত হইবে , উহাব আর স্বাতন্ত্র্য বা স্বাধীনত কিছুই থাকিবে না । আমরা সেনেটের পুনর্গঠনে বা সিণ্ডিকেটেব স্বাধীনতাসঙ্কোচে তত আশঙ্কার কাবণ দেখি না । কেন না, কমিশন নরতিশয় ধৈর্য্য ও অধ্যবসাম সহকাবে kBB BBBBBBBB BBB BB BBBB BBBB BBBS SBBB BBBS দিয়াছেন, এপ’ নুতন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ঐ সকল দুশ্চিস্তার দায় হই৩ে একবারে অব্যাহতি দিয়াছেন । কোন কালেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তভূক্ত থাকিবে, কোন কালেজ থাকিবে না, তাহ গবর্মেণ্ট স্বয়ং নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিলেন। গণমেণ্টের কৰ্ম্মচারীরা কালেজের অবস্থা তদন্ত করিয়া খারিজ দাখিলের বিপোষ্ট কবিবেন , সিণ্ডিকেটকে তজ্জন্য স্বতন্ত্র কৰ্ম্মচারী রাখিতে হইবে না। ছাঞেব। কোন বয়সে পৰীক্ষা দিবে, কি বিষয়ে পরীক্ষা দিবে, কত মার্ক পাইলে পাস ঃ ইলে, এই সমস্তই কমিশন বিধিবদ্ধ করিয়া দিয়াছেন , সুতরাং নুতন সিণ্ডিকেটের বা নতন সেনেটের এই সকল চিন্তায় মাথাব্যথা জন্মাইবার কোন অবসর থাকিবে না। বরং নুতন সেনেট ও নূতন সিণ্ডিকেট জন্মগ্রহণ করিয়া কি কৰ্ম্ম লইয়া জীবন যাপন করবেন। তাহাই অনেকের ভাবনার বিষয় হইয়াছে। সুতরাং সিণ্ডিকেটের ভাবী প্রভুত্বের আশঙ্কায় আঞ্জি ইষ্টতে আমাদের চিন্তিত হইবার কোনই কারণ নাই । তদ্ভিন্ন বেসরকারী বিদ্যালয়গুলির উন্নতিবিধানের জন্য কমিশন নানাবিধ উপদেশ দিয়াছেন । ঐ সকল বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা অতি শোচনীয়। যাহাতে বিদ্যালয়গুলিতে যন্ত্রাগার হয়, পুস্তকালয় হয়, ছাত্রাবাস হয়, ইত্যাদি বিবিধ উপদেশ